এককালে বিশ্বের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' জঙ্গি, এখন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের অতিথি! চাঞ্চল্য আন্তর্জাতিক মহলে

এককালে বিশ্বের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' জঙ্গি আহমেদ আল-শারা এখন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে, রাশিয়ার সমর্থনে পাশ মার্কিন প্রস্তাব। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন যুগের সূচনা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
syria president

নিজস্ব সংবাদদাতা: এক সময় যিনি ছিলেন বিশ্বের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' জঙ্গিদের একজন, এখন তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিথি হিসেবে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউসে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা, যিনি এক সময় আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত ছিলেন, সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন— এমন খবরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।

একদা সিরিয়ার আল-নুসরা ফ্রন্টের প্রধান ছিলেন শারা। তাঁর মাথার দাম এক সময় নির্ধারিত হয়েছিল ১০ মিলিয়ন ডলার, সিরিয়ায় একাধিক ভয়াবহ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু সময় বদলেছে। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে পাশ হওয়া এক ঐতিহাসিক প্রস্তাবের পর, আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁর ওপর থেকে “বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী” তকমা।

donald trump dance

এর পরেই শুরু হয় কূটনৈতিক পালাবদল। রবিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন প্রেসিডেন্ট আল-শারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর, তিনি দুই দিনের সফরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ইতিমধ্যেই তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের শীর্ষ পদস্থ অফিসাররা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও, যেখানে দেখা যাচ্ছে, সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানী মার্কিন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাস্কেটবল খেলছেন। ক্যাপশনে লেখা, “Work hard, play harder.”

জাতিসংঘে কয়েক দিন আগেই ভোটাভুটিতে ১৪ সদস্য দেশ সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে মত দেয়। চীন ভোটদানে বিরত থাকে। রাশিয়া সমর্থন জানায় প্রস্তাবটিকে, দাবি করে, “এটি সিরিয়ার জনগণের আত্মসম্মান ও স্বপ্নের প্রতিফলন।”

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “এই ভোট একটি রাজনৈতিক বার্তা— সিরিয়া এখন নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।”

জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে সিরিয়ার আধাসামরিক গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (HTS)-এর সঙ্গে আল-কায়েদার কোনও সক্রিয় যোগ নেই। এটাই ছিল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অন্যতম কারণ।

এক সময় যাঁর নাম উচ্চারণ করলেই কেঁপে উঠত আন্তর্জাতিক সমাজ, সেই আহমেদ আল-শারার আজ নতুন ভূমিকায়— রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে মার্কিন মাটিতে। কেউ বলছেন, এ এক কূটনৈতিক পুনর্জন্ম; কেউ বলছেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতির নতুন পাতা উল্টে গেছে।