/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/n7bMV3cL0trIE1fdhSDG.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: ব্রিটেনে চীনা গুপ্তচরবৃত্তির আশঙ্কা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। দেশের সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে ব্রিটেনের নিরাপত্তা সংস্থা। মঙ্গলবার ব্রিটিশ হাউস অব কমন্স–এর স্পিকার লিন্ডসে হোয়েল এবং হাউস অব লর্ডস–এর স্পিকার যৌথভাবে সংসদ সদস্যদের হাতে পৌঁছে দেন নতুন একটি ‘এস্পিওনাজ অ্যালার্ট’। নিরাপত্তা সংস্থার তৈরি এই সতর্কতায় স্পষ্ট বলা হয়েছে—চীনের গোয়েন্দা এজেন্টরা ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহলে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে, এমনকি তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি প্রভাব বিস্তার করতেও চাইছে।
লিন্ডসে হোয়েল জানিয়েছেন, চীনের মন্ত্রক অব স্টেট সিকিউরিটি সক্রিয়ভাবে ব্রিটিশ সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এই যোগাযোগের উদ্দেশ্য শুধু তথ্য নেওয়া নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তৈরি করা। এজন্য তারা ব্যবহার করছে পেশাদার নেটওয়ার্কিং সাইট লিঙ্কডিন, বিভিন্ন রিক্রুটমেন্ট এজেন্ট এবং পরামর্শদাতাদের।
রয়টার্স জানাচ্ছে, অন্তত দুই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা লিঙ্কডিনে বিপুল পরিমাণ ব্রিটিশ নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। অভিযোগ, তারা চীন সরকারের পক্ষ থেকেই এই কাজ করছিলেন।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/19/china-spy-2025-11-19-07-26-24.png)
চীনা দূতাবাস এই ঘটনা নিয়ে এখনো কোনও মন্তব্য করেনি।
এই সতর্কবার্তা এমন সময় এসেছে, যখন এর আগে সেপ্টেম্বরে দুই ব্রিটিশ নাগরিকের বিরুদ্ধে চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছিল। তবে আদালত সেই মামলা বাতিল করে দেয়, কারণ সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট প্রমাণ হাজির করা যায়নি যে চীন ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি ছিল।
তার আগে অক্টোবর মাসে MI5 জানিয়েছিল, চীনা গুপ্তচররা ভুয়ো চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্রিটিশ পেশাজীবীদের ফাঁদে ফেলছিল। MI5–এর ডিরেক্টর জেনারেল কেন ম্যাককালাম প্রকাশ্যেই সতর্ক করেছিলেন—চীনের গুপ্তচরবৃত্তি ব্রিটেনের প্রতিদিনের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।
বর্তমানে এই নতুন সতর্কবার্তা ব্রিটিশ রাজনীতিতে আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। লন্ডনের ক্ষমতার করিডরে এখন একটাই প্রশ্ন—চীনের গুপ্তচররা কতটা ভেতরে ঢুকে পড়েছে?
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us