/anm-bengali/media/media_files/2025/11/19/mexico-mayor-2025-11-19-07-34-50.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: মেক্সিকোর ভূখণ্ডে মার্কিন সামরিক হামলার অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না—কঠোর ভাষায় এমনটাই জানালেন প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম। সোমবারই আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ড্রাগ চক্রের প্রবেশ বন্ধ করতে চাইলে তিনি “যা যা দরকার” করতে প্রস্তুত। তার পরদিনই শেইনবাউম স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মেক্সিকোর মাটিতে বিদেশি সেনার হস্তক্ষেপ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
শেইনবাউম জানান, ট্রাম্প আগেও বহুবার মেক্সিকোতে মার্কিন সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা আপনাদের দেশে সামরিক শক্তি পাঠাতে প্রস্তুত, যা দরকার তা-ই করব অপরাধচক্র দমনে।’ তবে আমি প্রতিবারই তাঁকে বলেছি—সহযোগিতা চাইলে তথ্য দিন, কিন্তু অপারেশন আমরা আমাদের মাটিতেই চালাব। বিদেশি সেনাকে ঢুকতে দেব না।”
তিনি আরও জানান, ট্রাম্পের পাশাপাশি মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব মার্কো রুবিওকেও তিনি একই কথা বলেছেন এবং দুই পক্ষই বিষয়টি বুঝেছে।
ট্রাম্প সোমবার সাংবাদিকদের সামনে বলেন, “মেক্সিকোতে হামলা করে যদি ড্রাগ বন্ধ করা যায়, আমি তাতে রাজি। মেক্সিকো আমাকে খুশি করছে না।” ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পরই উত্তাপ ছড়িয়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক মহলে। যদিও পরে মেক্সিকোতে মার্কিন দূতাবাস একটি ভিডিও প্রকাশ করে জানায়, আগের মন্তব্যে রুবিও স্পষ্ট বলেছিলেন—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনও একতরফা সামরিক পদক্ষেপ নেবে না।
এদিকে ঘটল আরও অদ্ভুত ঘটনা। সোমবার উত্তর–পূর্ব মেক্সিকোর এক সৈকতে রহস্যজনকভাবে একটি নৌকা এসে ভিড়ে। সেখান থেকে নামা কয়েকজন মানুষ সৈকতে এমন কিছু বোর্ড বসিয়ে দেয় যাতে লেখা ছিল—এটি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ‘restricted’ বা সীমাবদ্ধ এলাকা। এরপরই কূটনৈতিক স্তরে আলোড়ন পড়ে যায়—এটি কি সত্যিই মার্কিন কোনও দলের অনধিকার প্রবেশ ছিল, নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্যে করা হয়েছে? এখন দুই দেশের কূটনীতিকরা মিলে ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us