নিজস্ব সংবাদদাতা: লস অ্যাঞ্জেলস শহরে হঠাৎ উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ৪৪ জনকে গ্রেফতারের পর রাস্তায় নামলেন শতাধিক মানুষ। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ ঘিরে শুরু হয় প্রবল বিক্ষোভ।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র ইয়াসমিন পিটস ও’কিফ জানান, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE)-এর আধিকারিকরা শহরের তিনটি জায়গায় হানা দিয়ে অন্তত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন। পাশাপাশি এক ব্যক্তিকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ধরা হয়েছে।
তবে অভিবাসী অধিকার রক্ষাকারী সংগঠনগুলোর দাবি, কমপক্ষে সাতটি জায়গায় হানা হয়েছে, যার মধ্যে ছিল দুইটি হোম ডিপো, একটি ফ্যাশন ডিস্ট্রিক্টের গুদামঘর এবং এমনকি একটি ডোনাট দোকানও।
মার্কিন অ্যাটর্নি অফিস জানায়, একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে জাল নথি দিয়ে কর্মী নিয়োগের অভিযোগে তল্লাশি চালানো হয়। এই অভিযান চলমান ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন-বিরোধী কড়া অবস্থানের অংশ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে লস অ্যাঞ্জেলসের একটি ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারের সামনে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা চিৎকার করতে থাকেন—“Set them free, let them stay!” অনেকে হাতে প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন যেখানে লেখা ছিল “ICE out of LA!”
/anm-bengali/media/media_files/2025/06/07/pAGkNvH73yoYAz1z3SQ0.JPG)
তবে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায় যখন পুলিশের দাবি অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন ও ডিটেনশন সেন্টারে ঢোকার চেষ্টা করেন। এমনকি FBI এজেন্টদেরও আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ।
এর পরই পুলিশ ভিড় সরাতে ধোঁয়ার বোমা, টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে এবং 'অবৈধ জমায়েত'-এর ঘোষণা করে এলাকা খালি করার নির্দেশ দেয়।
ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে এই বিক্ষোভ আমেরিকায় অভিবাসী নীতির বিরুদ্ধে জনরোষের আরও এক বড় ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন অনেকে।