/anm-bengali/media/media_files/2025/10/20/khamenei-2025-10-20-20-16-29.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: তেহরান ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক ফের তলানিতে। সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি সাফ জানিয়ে দিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া নতুন আলোচনার প্রস্তাব ইরান গ্রহণ করবে না। সেই সঙ্গে তিনি ট্রাম্পের দাবি পুরোপুরি নাকচ করে বলেন, “আমেরিকা ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা ধ্বংস করতে পারেনি।”
খামেনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমরা আমেরিকার সঙ্গে আবার আলোচনায় বসব না। তারা কথার আড়ালে আগ্রাসন লুকিয়ে রাখে। ইরানের পরমাণু শক্তি এখনও সক্রিয় ও সুরক্ষিত। যারা মনে করছে বোমাবর্ষণে আমরা দুর্বল হয়ে গেছি, তারা ভুল করছে।”
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পাঁচ দফা পরোক্ষ পারমাণবিক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু সেই আলোচনার শেষ হয় এক ভয়াবহ ১২ দিনের বিমানযুদ্ধে, যেখানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে ইরানের একাধিক পারমাণবিক কেন্দ্র বোমা মেরে ধ্বংস করে বলে অভিযোগ ওঠে।
তবে খামেনির দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তাঁর কথায়, “আমাদের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা ভয় পাই না।”
গত সপ্তাহে ট্রাম্প ইসরায়েলি সংসদে (কনেসেট) বলেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এখন যদি তেহরানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করা যায়, তা হবে দারুণ বিষয়।” তাঁর সেই বক্তব্যেই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছিল, হয়তো যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে আবার কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরতে চায়।
কিন্তু খামেনির সোমবারের মন্তব্যে স্পষ্ট — তেহরান আপাতত সেই পথে হাঁটছে না। ইরানের নেতৃত্বের মতে, আমেরিকা কেবল নিজেদের স্বার্থের সময়ই আলোচনায় বসতে চায়, শান্তির নামে আসলে চাপ সৃষ্টি করে।
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে এখন একটাই প্রশ্ন—ইরান ও আমেরিকার এই নতুন দূরত্ব কি আবারও মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা বাড়াবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি তেহরান আলোচনায় না ফেরে, তবে পারমাণবিক ইস্যু ঘিরে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা আরও তীব্র হতে পারে, যা গাজা সংঘাতের পর আবারও অঞ্চলের স্থিতিশীলতায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us