পারস্য উপসাগরে ফের উত্তেজনা! ইরানের হাতে আটক সিঙ্গাপুরগামী তেলবাহী ট্যাঙ্কার

পারস্য উপসাগরে ইরানের রেভলুশনারি গার্ডস সিঙ্গাপুরগামী ট্যাঙ্কার ‘তালারা’ আটক করেছে। অননুমোদিত কার্গোর অভিযোগ, নজরদারিতে মার্কিন সেনা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
oil tankar

নিজস্ব সংবাদদাতা: পারস্য উপসাগরে ফের উত্তেজনা। ইরান শনিবার নিশ্চিত করেছে যে তাদের রেভলুশনারি গার্ডস একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার আটক করেছে, যা সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পথে বহন করছিল পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ট্যাঙ্কারটি অনুমোদনবিহীন বা নিয়মভঙ্গকারী কার্গো বহন করছিল বলে অভিযোগ।

এর আগেই মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার ইরানি বাহিনী তেল-পণ্যবাহী ওই ট্যাঙ্কারকে থামিয়ে ইরানের জলসীমায় নিয়ে যায়। ইসরায়েল–মার্কিন যৌথ হামলার ঘটনার পর এই প্রথম ইরান কোনও বিদেশি ট্যাঙ্কার জব্দ করল।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি আইআরজিসির বিবৃতি পড়ে শোনায় যেখানে বলা হয়, “ট্যাঙ্কারটি অননুমোদিত কার্গো বহন করছিল।” তবে বিস্তারিত অপরাধ বা নির্দিষ্ট অভিযোগ প্রকাশ করেনি ইরান।

মার্শাল আইল্যান্ডসের পতাকাবাহী ট্যাঙ্কার ‘তালারা’ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির উপকূলে ভেসে চলেছিল, এবং টেকনিক্যাল সূত্রে জানা যায় সেটি শারজাহ বন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ‘হাই-সালফার গ্যাসঅয়েল’ নিয়ে ভারত মহাসাগর দিয়ে যাচ্ছিল।

oil tanker iran

জাহাজটির ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি কলম্বিয়া শিপম্যানেজমেন্ট জানায়, শুক্রবার সকালেই তালারার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যখন এটি খোর ফাককানের উপকূল থেকে মাত্র ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। এরপরই শুরু হয় উত্তেজনা। কোম্পানি জানায়, তারা নৌ-সুরক্ষা সংস্থা এবং মালিক সাইপ্রাস–ভিত্তিক পশা ফিনান্সের সঙ্গে মিলে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীও জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত এবং নজর রাখছে।

উপসাগর অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজ জব্দ করা ইরানের জন্য নতুন ঘটনা নয়— আইআরজিসি গত কয়েক বছরে একাধিকবার ‘চোরাচালান’, ‘কার্গো অনিয়ম’ বা ‘আইনি বিবাদ’-এর অভিযোগে বিদেশি জাহাজ আটকে রেখেছে। কিন্তু বর্তমান ভূরাজনৈতিক অবস্থা ও সাম্প্রতিক হামলা-প্রতিহামলার প্রেক্ষিতে এই ঘটনায় পরিস্থিতি আরও স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে।