পাকিস্তানের পরমাণু ঘাঁটিতে গোপন মার্কিন ঘাঁটি? সামনে এলো গোপন চুক্তির ইঙ্গিত

পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ নূর খান বিমানঘাঁটি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে গোপন চুক্তির ইঙ্গিত পাওয়া গেল।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
nur khan airbase

নিজস্ব সংবাদদাতা: পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ নূর খান বিমানঘাঁটি, যা ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর টার্গেটেড হামলায় গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—উচ্চ রেজোলিউশনের স্যাটেলাইট চিত্রে এই তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।

এই ঘাঁটিটি পাকিস্তান বিমানবাহিনীর অন্যতম কৌশলগত কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে রয়েছে ভিআইপি পরিবহন ব্যবস্থা, মোবাইল কমান্ড সেন্টার, নজরদারি বিমান, এবং তুরস্ক থেকে আনা বাইরাকতার টিবি-২ ড্রোন। এটি পাকিস্তানের পরমাণু নজরদারি সংক্রান্ত নেটওয়ার্কের সঙ্গেও যুক্ত বলে সন্দেহ করা হয়।

ভারতের গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের আঘাত মূলত রানওয়ে, রাডার স্টেশন, হ্যাঙ্গার এবং মাটির নিচে থাকা ফোর্টিফাইড জোনে কেন্দ্রীভূত ছিল। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, একটি ৭,০০০ বর্গফুটের অপারেশনস কমপ্লেক্স এবং কমান্ড যানবাহন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। কিছু বোমার গর্ত এমন এলাকায় দেখা গেছে, যেগুলিকে সম্ভাব্য পরমাণু সংক্রান্ত ইনফ্রাস্ট্রাকচারের অংশ বলে মনে করা হয়।

পাকিস্তানি নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল এক ভিডিও বার্তায় বলেন, নূর খান ঘাঁটিটি কার্যত “একটি আমেরিকান দুর্গ”-এর মতো চলে, যেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রবেশও নিষিদ্ধ। তিনি অভিযোগ করেন, ২০০১ সালের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান সেনার মধ্যে কিছু গোপন চুক্তি রয়েছে এবং আফগান যুদ্ধ ও ড্রোন অপারেশনের সঙ্গে এই ঘাঁটির যোগসূত্র আছে।

affect of operation sindoor

সূত্র আরও জানিয়েছে, পাকিস্তান সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করছে না—কারণ এতে আন্তর্জাতিক মহলের সামনে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির ছবি স্পষ্ট হয়ে যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ধ্বংসাবশেষ সরাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

যদিও পাকিস্তান সেনা বাহিনী এই হামলার প্রভাব কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু উপগ্রহ চিত্র ও গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রায় ২০ শতাংশ কৌশলগত ক্ষমতা এই হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। মোবাইল কমান্ড ইউনিট, সাব এরিয়াই (AWACS) সিস্টেম এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এই ঘাঁটির অবস্থান পাকিস্তানের পরমাণু স্থাপনাগুলির কাছাকাছি। কিছু অঞ্চল এখনো ধ্বংসাবশেষে ভরা—কারণ তা পরিষ্কার করলে হয়তো প্রকাশ্যে চলে আসবে বহু গোপন তথ্য, যা পাকিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন পারমাণবিক যোগাযোগের বিষয়েও ইঙ্গিত দিতে পারে।