/anm-bengali/media/media_files/BXjuncRbur3G3tSTUjIZ.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর দাবি, খুব শিগগিরই ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতির পরবর্তী পর্যায়ে ঢুকতে চলেছে। শর্ত একটাই—গাজায় থাকা সর্বশেষ ইসরায়েলি বন্দির দেহাবশেষ ফিরিয়ে দিতে হবে হামাসকে।
চুক্তি অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে হামাসকে নিরস্ত্র করা, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, আন্তর্জাতিক শান্তিবাহিনীর মোতায়েন এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে একটি অস্থায়ী ফিলিস্তিনি প্রশাসন গঠন করা হবে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, হামাস প্রথমবার প্রকাশ্যে জানিয়েছে যে তারা অস্ত্র “ফ্রিজ”, “সংরক্ষণ” বা “নিচে রাখা” নিয়ে আলোচনায় রাজি—যা অত্যন্ত বিরল ও গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।
নেতানিয়াহু বলেন, প্রথম ধাপ সফল হবে বলে অনেকে বিশ্বাস করেননি। আর দ্বিতীয় ধাপ আরও কঠিন হবে। তিনি আরও বলেন, তৃতীয় ধাপে গাজাকে ‘ডির্যাডিক্যালাইজ’ করতে হবে, যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি ও জাপানে হয়েছিল। তাঁর দাবি, গালফ দেশগুলোর মতো গাজাতেও এ প্রক্রিয়া সম্ভব, তবে তার জন্য হামাসকে সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতেই হবে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/13/donald-trump-2025-10-13-00-50-51.png)
বার্লিন সফরে আসা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে নেতানিয়াহু জানান, চলতি মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় ধাপ শুরু হতে পারে যদি প্রথম ধাপের সব শর্ত পূরণ হয়। গাজায় থাকা সর্বশেষ ইসরায়েলি বন্দি, ২৪ বছরের পুলিশ অফিসার রন গিভিলির দেহ এখনো ফেরত পায়নি। তিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
গাজায় বহু মাসের অচলাবস্থা ও রক্তক্ষয়ের পর এই অগ্রগতি আন্তর্জাতিক মহলে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us