জাতিগত বৈষম্য নয়, জাতীয় নিরাপত্তা—চীনাদের জমি কেনায় কঠোর আমেরিকা

ফ্লোরিডায় চীনা নাগরিকদের জমি কেনা সীমাবদ্ধ করার আইন বহাল রাখল ইউএস আপিল আদালত। আদালতের দাবি—আইন বৈষম্যমূলক নয়। আরও রাজ্যে ‘অ্যালিয়েন ল্যান্ড ল’ ছড়ানোর আশঙ্কা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
florida


নিজস্ব সংবাদদাতা: আমেরিকায় বিতর্ক বাড়াচ্ছে আরেক আইনি রায়। এবার চীনা নাগরিকদের জমি কেনা-বেচায় সীমাবদ্ধতা নিয়ে ফ্লোরিডার আইনকে সবুজ সংকেত দিল ইউএস আপিল আদালত। বহুদিন ধরে স্থগিত থাকা আইনের ওপর থেকে রইল নিষেধাজ্ঞা। আদালতের রায় — এই আইন ফেডারেল আইনের বিরোধিতা করে না এবং এশীয়দের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলকও নয়।

১১তম সার্কিট কোর্টের (আটলান্টা) দুই বিচারকের বেঞ্চ জানিয়েছে, যাঁরা মামলা করেছিলেন তাঁদের আইনি অধিকারই ছিল না এই আইন চ্যালেঞ্জ করার। কারণ আইনটি শুধু তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যাঁদের থাকা-খাওয়া, অর্থাৎ ‘ডমিসাইল’ এখনও চীনে। অথচ মামলাকারী চারজনই বহু বছর ধরে ফ্লোরিডায় থাকেন।

china

২০২৩ সালে ফ্লোরিডায় বাস্তবায়িত এই আইনের দাবি—চীনা নাগরিকেরা রাজ্যে নির্দিষ্ট এলাকায় জমি বা বাড়ি কিনতে পারবেন না। এমনকি যাঁরা সম্পত্তির মালিক, তাঁদের সেই জমির তথ্য রাজ্যের কাছে নথিভুক্ত করতে হবে। চীনা নাগরিকদের মতে, এটি বর্ণবিদ্বেষী ও ঘৃণানীতির উদাহরণ। কিন্তু আদালত বলছে, এটি মূলত নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন, কোনো বর্ণবিদ্বেষ নয়।

এই রায়ের পর আশঙ্কা বাড়ছে—এমন "অ্যালিয়েন ল্যান্ড ল" আরও অনেক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়বে। ইতিমধ্যেই ৩০টিরও বেশি অঙ্গরাজ্য বিদেশিদের সম্পত্তি মালিকানা নিয়ে আইন পাস বা প্রস্তাব করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে তাই নতুন দিগন্ত—বিদেশি বিনিয়োগ, পররাষ্ট্রনীতি, আর জাতীয় নিরাপত্তা—সবই এখন জমির দখলে মিশে যাচ্ছে।