/anm-bengali/media/media_files/2025/11/24/ex-cia-officer-2025-11-24-00-53-27.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: পাকিস্তানের বিতর্কিত পরমাণু বিজ্ঞানী এ কিউ খানের ভূমিকাকে ঘিরে নতুন করে তোলপাড় আন্তর্জাতিক মহলে। মার্কিন সিআইএর প্রাক্তন শীর্ষ কর্মকর্তা জেমস ললার দাবি করেছেন, খান যখন তাঁর বৈশ্বিক পরমাণু পাচার চক্র পরিচালনা করছিলেন, তখন পাকিস্তানের কিছু জেনারেল এবং রাজনৈতিক নেতা তাঁর পেরোলে ছিলেন। ANI–কে দেওয়া এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে ললার এই অভিযোগ তুলেছেন।
ললার, যিনি সিআইএর কাউন্টার-প্রলিফারেশন ডিভিশন পরিচালনা করেছিলেন, এ কিউ খানকে সরাসরি “মার্চেন্ট অফ ডেথ” বলে উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়, আমেরিকা প্রথম থেকেই খানকে পাকিস্তানের পরমাণু প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে দেখত। কিন্তু খান যে পাকিস্তানের সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশগুলোকেও গোপনে প্রযুক্তি সরবরাহ করছেন, সেই বৃহৎ নেটওয়ার্কের পরিধি বুঝতে আমেরিকা সময় নিয়েছিল।
ললার বলেন, “আমরা খুব দেরিতে বুঝেছি। ভাবতাম, পাকিস্তানকে পরমাণু সরঞ্জাম দিচ্ছেন—এটাই বড় সমস্যা। কিন্তু তিনি যে বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেবেন, তা কল্পনাও করিনি।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/08/02/pakistan-2025-08-02-11-42-48.jpg)
সাক্ষাৎকারে ললার তাঁর গোয়েন্দা জীবনের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন। জানান, ইউরোপে পোস্টিং থাকা অবস্থায় তিনি প্রথম নিউক্লিয়ার পাচার রুখতে কাজ শুরু করেন। পরে তিনি সিআইএর ইউরোপীয় কাউন্টার-প্রলিফারেশন অফিস পরিচালনা করেন এবং তারপর গোপনে ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে ঢুকে সেখানকার গতিবিধি নজরদারিতে রাখেন।
তিনি আরও জানান, তাঁদের দল নকল সরবরাহকারী কোম্পানির রূপ ধরে এমন সব দেশের কাছে পৌঁছত যারা অবৈধভাবে পরমাণু যন্ত্রাংশ বা প্রযুক্তি সংগ্রহের চেষ্টা করত। সেই মাধ্যমেই তাঁরা বহু বড় চক্রকে থামাতে সক্ষম হন।
এ কিউ খানের নেটওয়ার্ক নিয়ে ললারের এই মন্তব্য আবারও আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়াল। যদিও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই দাবি সম্পর্কে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো মেলেনি।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us