প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঝগড়া! মার্কিন প্রশাসন থেকে সরে যেতে পারেন ইলন মাস্ক

প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইলন মাস্কের মতবিরোধ।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
donald trump and elon musk

নিজস্ব সংবাদদাতা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে চলেছে টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের? প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা মাস্ক কি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বৃত্ত থেকে ছিটকে পড়তে চলেছেন? সাম্প্রতিক একটি বৈঠকে মাস্কের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর এ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার, যখন ট্রাম্প তাঁর ক্যাবিনেট সদস্যদের বৈঠকে ডেকে মাস্কের কাজের হিসাব চান। সরকারি খরচ বাঁচাতে তিনি কী কী পদক্ষেপ করেছেন, কত ডলার সাশ্রয় করেছেন—তার বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয় মাস্ককে।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (DOGE)-এর প্রধান হিসেবে ইলন মাস্ককে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁর মূল দায়িত্ব ছিল অপ্রয়োজনীয় সরকারি খরচ কমানো ও অতিরিক্ত কর্মী ছাঁটাই করা। সেই নির্দেশ মেনে মাস্ক আগ্রাসীভাবে সরকারি কর্মী ছাঁটাই করেন এবং বাকিদের মাত্রাতিরিক্ত সময় কাজ করার নির্দেশ দেন, যা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে বিস্তর।

elon musk.jpg

বৈঠকের মধ্যেই মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিওকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করেন ইলন মাস্ক। তাঁর অভিযোগ, রুবিও স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে পর্যাপ্ত কর্মী ছাঁটাই করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, রুবিও বড় বড় টেলিভিশন বক্তৃতা দিলেও বাস্তবে খুব একটা কাজের নন।

শুধু রুবিও নন, পরিবহণ সচিব সিয়ান ডাফিকেও তীব্র ভর্ৎসনা করেন মাস্ক। তিনি জানতে চান, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) থেকে আরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করা হয়নি কেন। ডাফি পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, তাঁর দফতরে ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে, যার ফলে তারা কর্মী সংকটে ভুগছে।


সম্প্রতি মার্কিন আকাশে দুটি বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা পরিবহণ সচিবের দফতরকে আলোচনার কেন্দ্রে এনে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব নতুন মোড় নিচ্ছে।

এখন প্রশ্ন উঠছে, ট্রাম্প কি মাস্ককে তাঁর প্রশাসন থেকে সরিয়ে দেবেন? নাকি এই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পরও টেসলা কর্তা নিজের জায়গায় অটল থাকবেন? পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে ওয়াশিংটন।