মাসের পর মাস গালিগালাজের পর হঠাৎ বদলে গেল ছবিটা! হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প–মামদানি ‘বন্ধুত্বের’ হাসি

মাসের পর মাসের দ্বন্দ্ব-তর্কের পর হোয়াইট হাউসে প্রথম সাক্ষাতে অবিশ্বাস্যভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ ছবি দেখা গেল ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জহরান মামদানির।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
trump and mamdani

নিজস্ব সংবাদদাতা: মাসের পর মাস জোরালো তর্ক, গালিগালাজ, রাজনৈতিক বিদ্বেষ এবং তীব্র ব্যক্তিগত আক্রমণে যখন মার্কিন রাজনীতির আকাশ জ্বলছিল, তখন হঠাৎই ছবিটা বদলে দিল ওভাল অফিসের এক বৈঠক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র, ভারতীয় বংশোদ্ভূত জহরান মামদানি—দু’জনের সম্পর্ক গত কয়েক মাস ধরে ছিল চরম উত্তপ্ত। কখনও ট্রাম্প তাঁকে “কমিউনিস্ট”, “লুনাটিক” বলেছেন, আবার মামদানি বলেছিলেন, ট্রাম্প একজন “ফ্যাসিস্ট” ও “স্বৈরশাসক”।

এই প্রেক্ষাপটে হোয়াইট হাউসে তাঁদের প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ ঘিরে তৈরি হয়েছিল প্রবল উত্তেজনা। অনেকেই ভেবেছিলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের আগের উত্তপ্ত মিটিংয়ের মতোই হয়তো পরিস্থিতি আবার চরমে উঠবে।

কিন্তু প্রত্যাশার সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি দেখা গেল। ওভাল অফিস থেকে বেরিয়ে এলেন হাসিখুশি ট্রাম্প। নবনির্বাচিত মেয়রকে দেখে যেন আচমকা বদলে গেল তাঁর ভাষা ও ভঙ্গি। শুধু প্রশংসাই নয়, তিনি বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেন, নিউইয়র্কের নতুন মেয়রকে তিনি সব রকম সাহায্য করবেন। ট্রাম্পের মুখে এমন নরম সুর রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।

mamdani aa

অন্যদিকে, জহরান মামদানিও অতীতের তিক্ততা সরিয়ে রেখে বৈঠককে “খুব প্রোডাক্টিভ” বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, নিউইয়র্কের মানুষের স্বার্থে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সহযোগিতায় কাজ করতে চান। এতদিনের প্রকাশ্য সংঘর্ষের পর এই সৌহার্দ্যপূর্ণ দৃশ্য অনেককেই চমকে দিয়েছে।

মার্কিন রাজনীতিতে যেখানে দ্বন্দ্বই প্রায় দিনচলার অংশ, সেখানে এমন নাটকীয় পরিবর্তনের কারণ নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। কেউ বলছেন, নিউইয়র্কের বিশাল ভোটব্যাঙ্ক মাথায় রেখে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমীকরণ মিলিয়ে নিচ্ছেন ট্রাম্প। আবার কেউ বলছেন, মেয়র পদে জয়ের পর মামদানির আধিপত্যকে স্বীকার করতেই বাধ্য হয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

যা-ই হোক, তিক্ত সম্পর্কের পর হঠাৎ এই উষ্ণতা আমেরিকার রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের আভাস দিচ্ছে।