দক্ষিণ আফ্রিকা জি-২০’র যোগ্য নয়! ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্যে কাঁপল কূটনৈতিক মহল

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তোলপাড়! দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত জি-২০ সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘দক্ষিণ আফ্রিকা জি-২০’র যোগ্যই নয়’, মন্তব্য ট্রাম্পের। বিতর্ক ঘনীভূত বিশ্বমঞ্চে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
donald trump

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্ব রাজনীতিতে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প। দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুধু তাই নয়, তাঁর হয়ে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল ভাইস প্রেসিডেন্ট জে. ডি. ভ্যান্সের, তাকেও সফর বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে প্রবল চর্চা।

হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান কৃষকদের উপর যে নিপীড়ন চলছে, তার প্রতিবাদেই এই বয়কটের সিদ্ধান্ত। ট্রাম্প নিজেই সাংবাদিকদের বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যেখানে তাদের জি-২০ তে থাকারই যোগ্যতা নেই। ওখানে যা ঘটছে, তা অত্যন্ত খারাপ।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরই আন্তর্জাতিক পরিসরে তোলপাড় শুরু হয়। বিশেষ করে আফ্রিকান দেশগুলি এই বক্তব্যকে ‘বর্ণবিদ্বেষমূলক’ বলে নিন্দা জানায়। দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও তথ্যগতভাবে ভুল। আমাদের দেশে কৃষি ও কৃষকদের অধিকার সুরক্ষিত।”

donald trump dance

উল্লেখযোগ্য, এই সিদ্ধান্ত শুধু এক সম্মেলন বয়কট নয়, বরং এক বৃহত্তর কূটনৈতিক বার্তা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্রমশ শিথিল হচ্ছে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসা, ন্যাটোতে অর্থ কমানো—সবই এই ধারার অংশ।

অন্যদিকে, ২০২৬ সালে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক হবে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প আগেই ঘোষণা করেছেন, সেই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে মায়ামিতে। ফলে বর্তমান বয়কটের সিদ্ধান্ত শুধু কূটনৈতিক পদক্ষেপ নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতিতে ‘ট্রাম্পীয় বাস্তববাদের’ এক নতুন অধ্যায় বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই অবস্থান শুধু মানবাধিকার নয়, বরং ট্রাম্পের দেশীয় রাজনীতিরও অঙ্গ—যেখানে শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের সমর্থন জোগাড় করতে চাচ্ছেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রকে আরও একাকী করে তুলবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।