আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতার মৃত্যু

জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জীবনাবসান। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছিলেন তিনি। অসুস্থ হয়ে মৃত্যু। তার প্রয়াণে মানুষের ঢল।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
১১১১১১

ফাইল ছবি

হবিবুর রহমান, ঢাকা :  বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী প্রয়াত।  দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী প্রতিষ্ঠিত আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার সকাল থেকেই জড়ো হয় তার ভক্তসহ সাধারণ মানুষ। ফিরোজপুরে দুপুর ১টার পর সাঈদী ফাউন্ডেশন মাঠে  মানুষের ঢল নামে। ফিরোজপুর ও আশপাশের জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ এসময় জানাজা নামাজ আদায় করে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা হওয়া সাঈদীপুত্র শামীম বিন সাঈদী বাংলাদেশে ফিরলেও সময়মতো ফিরোজপুর পৌঁছাতে না পারায়  শরিক হতে পারেননি। তবে ছোট ছেলে ও প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ বিন সাঈদী উপস্থিত ছিলেন। ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। এ সময় বক্তব্য দেন জামায়াত ইসলামী দলের শীর্ষ নেতারা। 
ফাউন্ডেশন মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে বড় ছেলে মাওলানা রাফীক বিন সাঈদীর কবরের পাশে তার কবর খনন করা হয়েছে। সেখানেই মাওলানা সাঈদীর মরদেহ সমাধিস্থ করা হবে।
তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ নিয়ে সোমবার রাতভর জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব চালিয়েছে। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মারা যান। তার মরদেহ নিয়ে জামায়াত-শিবির গত রাতে তাণ্ডব চালিয়েছে। পুলিশের ওপর আক্রমণ করে, গাড়ি ভাঙচুর করে বেশ কয়েকজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করেছে।রাতের হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি বিবেচনা করে বুধবার ঢাকায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজার অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
উল্লেখ্য, গত রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুকে ব্যথাজনিত সমস্যার কারণে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় সাঈদীকে। পরে সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।