/anm-bengali/media/media_files/2025/10/11/trump-and-jinping-2025-10-11-12-34-11.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: চীন আর একটিও সয়াবিন আনেনি আমেরিকা থেকে! সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো মার্কিন সয়াবিন আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করেছে বেইজিং। ২০১৮ সালের নভেম্বরের পর এই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটল, যা দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলে দিল।
চীনের সরকারি শুল্ক দফতরের (General Administration of Customs) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা থেকে সয়াবিন আমদানি হয়েছে শূন্য মেট্রিক টন, যেখানে গত বছর একই সময়ে আমদানি হয়েছিল প্রায় ১৭ লক্ষ মেট্রিক টন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে মার্কিন সয়াবিনের প্রবাহ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মূল কারণ হল চলমান চীন–আমেরিকা বাণিজ্যযুদ্ধ এবং আমেরিকান পণ্যের উপর চীনের উচ্চ হারে আরোপিত শুল্ক। ফলে চীনা ক্রেতারা বিকল্প উৎসের দিকে ঝুঁকছেন, বিশেষত দক্ষিণ আমেরিকার দেশ যেমন ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার দিকে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/09/21/xi-jinping-2025-09-21-22-55-24.jpg)
চীনের বাজারে এখন দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আগত সয়াবিনের আমদানি গত বছরের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। বিশ্লেষক ওয়ান চেংঝি (Wan Chengzhi) বলেন, “এই পরিস্থিতি মূলত ট্যারিফ বা শুল্কের কারণে। সাধারণত এই সময় কিছু পুরোনো ফসলের (old-crop) সয়াবিন আমেরিকা থেকে আসত, কিন্তু এ বছর তা হয়নি।”
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি খাতের জন্য এটি বড় ধাক্কা হতে পারে, কারণ চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সয়াবিন আমদানিকারক দেশ। এই আমদানি বন্ধ থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের আয় ও রপ্তানি উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এদিকে, চীনের অবস্থান স্পষ্ট — তারা নিজেদের সরবরাহ শৃঙ্খল বৈচিত্র্য করছে এবং একক উৎসের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, এটি শুধু বাণিজ্যনীতির বিষয় নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক টানাপোড়েনের প্রতিফলন।
বাণিজ্য মহলের ভাষায়, “চীন সয়াবিন দিয়ে একপ্রকার নীরব যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।”
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us