চার্লি কার্ক খুনে ‘অশালীন মন্তব্য’! শিকাগোর স্কুলশিক্ষক বরখাস্ত — তীব্র ক্ষোভ আমেরিকায়

চার্লি খুনে অশালীন মন্তব্যের জেরে বরখাস্ত হলেন শিকাগোর স্কুল শিক্ষিকা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
chichago


নিজস্ব সংবাদদাতা: আমেরিকার শিকাগো শহরের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে, রক্ষণশীল রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে। এই ঘটনায় দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড়।

বিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ওই শিক্ষিকার মন্তব্য ছিল সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত ও নিষ্ঠুর। এমন মন্তব্যের প্রতি আমাদের কোনো সহানুভূতি নেই। বিশেষ করে যখন চার্লি কার্কের স্ত্রী ও সন্তানরা ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন, তখন এমন নির্দয় মন্তব্য অমার্জনীয়।”

চার্লি কার্ককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়, এবং সেই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। কিন্তু ঠিক সেই সময়ই ওই শিক্ষিকার কুরুচিকর মন্তব্য ক্ষোভের জন্ম দেয় সাধারণ মানুষ ও অভিভাবকদের মধ্যে।

এই বিতর্কের রেশ এখন ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে। জানা গেছে, এর আগেও চার্লি কার্কের মৃত্যুর পর বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে পড়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন এমএসএনবিসি-র রাজনৈতিক বিশ্লেষক ম্যাথিউ ডাউড এবং বিচারক টেড বেরি। বিচারক বেরিকে ইতিমধ্যেই জো বুরোর ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনার পর আবারও স্পষ্ট হলো—জনসমক্ষে বা সামাজিক মাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য কেবল নৈতিক নয়, পেশাগত দিক থেকেও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

মharlie kirk

চার্লি কার্ক আমেরিকার এক প্রভাবশালী রক্ষণশীল কর্মী ছিলেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল ব্যাপক। তাঁর আকস্মিক মৃত্যু ও সেই সঙ্গে ঘিরে থাকা বিতর্কে এখন গোটা আমেরিকা স্তম্ভিত।

দেশজুড়ে আলোচনায় একটাই প্রশ্ন—সহানুভূতির জায়গা কি হারিয়ে ফেলছে আধুনিক সমাজ?