/anm-bengali/media/media_files/2024/12/10/1000121187.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: সিরিয়ার দক্ষিণের শহর সুয়েইদায় এক সপ্তাহ ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ অবশেষে থেমেছে। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, শত শত মানুষের প্রাণহানির পর বর্তমানে শহরে শান্তি ফিরে এসেছে। এই সহিংসতা এতটাই ভয়াবহ আকার নিয়েছিল যে, তা আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়ে। ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে ইজরায়েল এবং তীব্র নিন্দা জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার সিরিয়ার সরকারি বাহিনী, দ্রুজ সম্প্রদায় এবং বেদুইন গোষ্ঠীর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তির পর রবিবার পর্যন্ত শহরে নতুন করে কোনো গোলাগুলির খবর মেলেনি। যুদ্ধবিরতির কারণে পরিস্থিতি আপাতত শান্ত, যদিও শহরটির সঙ্গে এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সুয়েইদা শহরের রাস্তায় এখন আর আগের মতো টহল দিচ্ছে না অস্ত্রধারীরা। শহরের বহু অংশ ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিস্ফোরণ, গুলি ও আগুনে বহু ঘরবাড়ি ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে। নিহতের সংখ্যা কয়েক শতাধিক বলেই অনুমান, যদিও সঠিক পরিসংখ্যান এখনো পাওয়া যায়নি।
এই সংঘর্ষে সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা গোষ্ঠীগুলির ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য ছিল। দ্রুজ ও বেদুইন সম্প্রদায়ের মধ্যে বহুদিনের বিরোধ ও সাম্প্রতিক উত্তেজনা থেকেই এই সহিংসতার সূত্রপাত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যুদ্ধবিরতির ফলে সেই উত্তেজনা আপাতত নিয়ন্ত্রণে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই যুদ্ধবিরতি কতটা দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কারণ অতীতেও বহুবার এমন চুক্তি হলেও, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি বজায় থাকে না। এক সপ্তাহের মধ্যেই ইজরায়েলের সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং আমেরিকার কড়া প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক রাজনীতির মঞ্চেও এই ঘটনার প্রভাব পড়েছে।
সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা, অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ এবং জাতিগত বিভাজন ইতিমধ্যেই দেশটিকে তীব্র সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সুয়েইদার সাম্প্রতিক ঘটনাও সেই সংকটের আরও একটি দৃষ্টান্ত।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us