মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পরই বড় পদক্ষেপ, শেখ হাসিনাকে চেয়ে তৃতীয়বারের জন্য ভারতের কাছে আবেদন

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের কাছে আবারও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর এটি তিন নম্বর আনুষ্ঠানিক অনুরোধ।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Sheikh Hasina

নিজস্ব সংবাদদাতা:  বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনুস, আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের আবেদন জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT-BD) সম্প্রতি তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পরই এই নতুন চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা BSS।

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন যখন ছাত্র-নেতৃত্বাধীন কোটা সংস্কার আন্দোলন ইসলামপন্থীদের দখলে গিয়ে সহিংস রূপ নেয়। সেই সময় থেকেই ঢাকা সরকার তাঁকে “পলাতক” হিসেবে বিবেচনা করছে। এরই মধ্যে গত ডিসেম্বরেই ভারতকে দুটি পৃথক চিঠি পাঠিয়েছিল ঢাকা। এবার তৃতীয় চিঠি পাঠানো হলো—যার মাধ্যমে নিউ দিল্লির কাছে আবারও অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে হাসিনাকে ফেরত পাঠিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলায় হাজির করানো যায়।

বিদেশ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন নিশ্চিত করেছেন যে শুক্রবার ভারতের কাছে নতুন অনুরোধ পাঠানো হয়েছে, যদিও তিনি এর বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেন। এই চিঠির পটভূমিতে রয়েছে ১৭ নভেম্বরের সেই রায়, যেখানে ৭৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনাকে এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”-এর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনালে অনুপস্থিত অবস্থাতেই ওই রায় ঘোষণা করা হয়, কারণ দুজনই সেই সময় ভারতে অবস্থান করছিলেন।

Yunus

এই মামলার তৃতীয় অভিযুক্ত, প্রাক্তন পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁর সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই তিনি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় রায় ঘোষণার পর একটি বিবৃতি দিয়েছে, যেখানে বলা হয়—ভারত বিষয়টি নজরে রেখেছে এবং বাংলাদেশের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থেই সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করবে।

ঢাকা থেকে হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার বিষয়টি যে নতুন ভূ-রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে, তা এখন স্পষ্ট। আর ভারতের কাছে পাঠানো এই তৃতীয় অনুরোধ পরিস্থিতিকে আরও সংবেদনশীল করে তুলছে।