/anm-bengali/media/media_files/2025/11/24/burqa-australia-2025-11-24-20-03-49.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: অস্ট্রেলিয়ার সংসদে সোমবার এমন এক ঘটনা ঘটল যা মুহূর্তে দেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি করেছে। বরাবরই মুসলিম বিরোধী অবস্থানের জন্য পরিচিত অস্ট্রেলিয়ার কট্টর-ডানপন্থী সিনেটর পলিন হ্যানসন সংসদ অধিবেশনে বুরখা পরে হাজির হন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে মুহূর্তে উত্তাল হয়ে ওঠে সিনেট, আর মুসলিম সিনেটররা সরাসরি তাঁকে বর্ণবিদ্বেষী আখ্যা দেন।
হ্যানসন দীর্ঘদিন ধরেই প্রকাশ্যে বুরখা নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছেন। সোমবার তিনি একটি বিল পেশ করতে চেয়েছিলেন, যেখানে জনসমক্ষে বুরখা বা যেকোনও সম্পূর্ণ মুখ ঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করার দাবি ছিল। কিন্তু অনুমতি না মেলায় প্রতিবাদের পথেই নামেন তিনি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার, তিনি সংসদে বুরখা ব্যবহার করলেন রাজনৈতিক প্রচারের অস্ত্র হিসেবে।
সিনেটে হ্যানসন ঢুকতেই শুরু হয় হইচই। তাঁকে বুরখা খুলতে বলা হলে তিনি অস্বীকার করেন। ফলে সংসদের কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হয়। মুহূর্তেই ছড়ায় ক্ষোভ।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/24/burqa-2025-11-24-20-04-11.png)
নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রিনস পার্টির মুসলিম সিনেটর মেহরিন ফারুকি সরাসরি বলেন, “এটি স্পষ্ট বর্ণবিদ্বেষ। এই সিনেটর বর্ণবাদ ছড়াচ্ছেন।” পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার স্বতন্ত্র মুসলিম সিনেটর ফাতিমা পেমান হ্যানসনের কাজকে “লজ্জাজনক” বলে অভিহিত করেন। লেবার পার্টির নেতা পেনি ওংও তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এই আচরণ অস্ট্রেলিয়ার কোনও সংসদ সদস্যের মানের নয়।” তিনি হ্যানসনের বিরুদ্ধে সংসদ স্থগিতের প্রস্তাব দেন।
পলিন হ্যানসন পরে সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন, সংসদ তাঁর বিল নাকচ করায় তিনি নিজের মতো করে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। তাঁর কথায়, “যদি সংসদ বুরখা বন্ধ না করে, তবে আমি-ই দেখাবো সংসদে এই দমনমূলক, বিপজ্জনক পোশাক। এতে সবাই বুঝবে আসল সমস্যা কী। যদি তাঁরা চান না আমি এটি পরি—তাহলে বুরখা নিষিদ্ধ করুন।”
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us