/anm-bengali/media/media_files/2025/12/01/death-malyesia-2025-12-01-00-34-12.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: ভয়াবহ বৃষ্টিতে এশিয়ার একাধিক দেশ এখন জল ও ধসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত। প্রবল ঝড় ও টানা বৃষ্টির ফলে এখনও পর্যন্ত ৭০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ শত শত মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়া।
মালাক্কা প্রণালীর উপর তৈরি হওয়া বিরল ঘূর্ণিঝড় ‘সেনইয়ার’-এর প্রভাবে ভয়াবহ বৃষ্টি নামে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায়। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কায় আলাদা একটি ঝড়ের কারণে শুরু হয় প্রবল বর্ষণ, যার প্রভাব এখন ভারতের দক্ষিণ উপকূলের দিকেও এগোচ্ছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ায় অন্তত ৪৩৫ জন, শ্রীলঙ্কায় ১৫৩ জন, থাইল্যান্ডে ১৬২ জন এবং মালয়েশিয়ায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। সেখানে ধস ও বন্যায় বহু এলাকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখনও প্রায় ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ।
উত্তর সুমাত্রার বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টারের সাহায্য নিতে হচ্ছে। বহু গ্রাম কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বন্যার স্রোতে ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, খাবার সব ভেসে গিয়েছে। কেউ কেউ প্রাণ বাঁচাতে বাড়ির দোতলায় উঠে টানা দু’দিন জলঘেরা অবস্থায় কাটিয়েছেন। কোথাও কোথাও খাবার ও পানীয় জলের চরম অভাবে মানুষ বাধ্য হয়ে লুটপাটেও নামছে বলে খবর।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/nKZ2GuP6G7vHTPybKL28.jpg)
থাইল্যান্ডের দক্ষিণের হাত ইয়াই শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ৩০০ বছরে একবার হওয়া বৃষ্টির মতো জল নেমেছে বলে জানানো হয়েছে। কোথাও কোথাও আট ফুটেরও বেশি জল জমে যায়। হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ পর্যন্ত জল ঢুকে পড়ে, সেখানে থাকা নবজাতকদের উদ্ধার করতে চরম সমস্যায় পড়েন কর্মীরা। প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ এই দুর্যোগে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বহু রোগীকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কাতেও একই ছবি। ধস ও প্লাবনে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, এই বৃষ্টির প্রভাব এবার ভারতের দক্ষিণ দিকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us