যাত্রীকে বড় ছুরি দিয়ে কোপ! অভিযুক্ত ‘অবৈধ’? তুঙ্গে রাজনীতি

আমেরিকার শার্লটে ট্রেনে ভয়াবহ ছুরি হামলায় গুরুতর আহত যাত্রী। গ্রেফতার অস্কার সোলোরজানো। ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্যে ফের বিতর্ক। আগেও হয়েছিল একই রকম হামলা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Crime

নিজস্ব সংবাদদাতা: আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনার শার্লটে শহরের কমিউটার ট্রেনে ভয়াবহ ছুরি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন এক যাত্রী। ঘটনাটির পর পুলিশ ৩৩ বছরের অস্কার সোলোরজানোকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টাসহ মারাত্মক অস্ত্রে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে ট্রেনে বড় ছুরি নিয়ে ওই ব্যক্তির উপর হামলা চালানো হয়।

আহত যাত্রীকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও খুবই সংকটজনক। গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুযায়ী, হামলার সময় অভিযুক্ত মাদকাসক্ত মনে হচ্ছিল এবং তিনি নিজেদের মধ্যে ঝগড়া লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন। আদালতের নথিতে কোনও আইনজীবীর নাম পাওয়া যায়নি।

Crime

ঘটনা নিয়ে সরাসরি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা নাকি অভিবাসন নীতির ফল। তাঁর দাবি, “শার্লটে আবার এক ‘অবৈধ অভিবাসী’র ছুরি হামলা। ডেমোক্র্যাটরা শহরটাকে শেষ করে দিচ্ছে, সব জায়গায় যা করছে, এখানেও তাই!”

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, সোলোরজানোর অতীতেও একাধিক অপরাধের রেকর্ড রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সহিংসতা, বাধাদান এবং আগেও তাঁকে আমেরিকা থেকে দেশান্তর করা হয়েছিল। এবারও তাঁকে যাতে মুক্তি না দেওয়া হয়, সে জন্য ফেডারেল কর্তৃপক্ষ ডিটেইনার জারি করেছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন ফেডারেল সংস্থাগুলির সঙ্গে কতটা সহযোগিতা করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

সম্প্রতি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি নর্থ ক্যারোলিনায় বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। লক্ষ্য—যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে অথচ বৈধ কাগজপত্র নেই। কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজ্যে গত কয়েক বছরে কয়েকশো ফেডারেল ডিটেইনার কার্যকর হয়নি।

এ ধরনের ঘটনার আগেও নজির রয়েছে। চার মাস আগেই শার্লটের একই রেল পরিষেবায় ইউক্রেনের নাগরিক ২৩ বছরের ইরিনা জারুতস্কাকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ওই মামলায় দোষী ডিকার্লোস ব্রাউন জুনিয়রের বিরুদ্ধে রাজ্য পর্যায়ের হত্যার অভিযোগ ছাড়াও গণপরিবহনে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ফেডারেল মামলাও চলছে।