/anm-bengali/media/media_files/2025/11/16/drug-mafia-a-2025-11-16-22-43-12.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: ইকুয়েডরের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও শক্তিশালী অপরাধী সংগঠন লস লোবোস-এর প্রধান উইলমার জিওভ্যানি চাপারিয়া বার্রে, যাকে সবাই ‘পিপো’ নামে চেনে, অবশেষে স্পেনে ধরা পড়েছেন। রবিবার ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া তাঁর এক্স-এ পোস্ট করে এই খবর ঘোষণা করেন। তিনি লেখেন, “আজ আমরা ধরেছি পিপোকে— অঞ্চলটির সবচেয়ে চাওয়া ও ভয়ঙ্কর অপরাধী।”
এই নাটকীয় গ্রেফতারের ঘোষণার দিনই ইকুয়েডরে জাতীয় গণভোট চলছিল, যেখানে সংগঠিত অপরাধ দমনে বিদেশি সামরিক ঘাঁটি ফের আনার মতো বিতর্কিত প্রস্তাবও রয়েছে। তাই পিপোর গ্রেফতার রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও ব্যাপক গুরুত্ব বহন করছে।
ইকুয়েডরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জন রেইমবার্গ জানান, পিপো অন্তত ৪০০ হত্যার জন্য দায়ী। তাঁর কথায়, স্পেন ও ইকুয়েডর পুলিশের যৌথ অভিযানে এই গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই পিপোকে খুঁজছিল গোটা লাতিন আমেরিকা।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/08/16/arrested-123-2025-08-16-14-44-43.jpg)
অভিযোগ আরও গুরুতর— পিপো নাকি মেক্সিকোর কুখ্যাত CJNG কার্টেল-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোকেন পাচারের বিশাল নেটওয়ার্ক চালাতেন। সেই সঙ্গে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন বেআইনি সোনা খনির ব্যবসা, খুন-জুলুম থেকে শুরু করে কারাগারে গ্যাং অপারেশন— সবকিছুর রাশ ছিল তাঁর হাতে। প্রেসিডেন্ট নোবোয়ার দাবি, পিপো নিজের মৃত্যু ভাঁড়িয়েছিল, নাম বদলে ইউরোপে পালিয়ে গিয়েছিল এবং সেখান থেকেই ইকুয়েডরের অপরাধচক্র চালাচ্ছিল।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লস লোবোসকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং তাদের হাজার হাজার সদস্য রয়েছে বলে জানায়। ইকুয়েডরে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ক্রমবর্ধমান হিংসা ও অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে এই গ্যাং-কে চিহ্নিত করা হয়। এমনকি ২০২৩ সালের ৯ আগস্ট প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী ফার্নান্দো ভিয়াভিসেনসিওর হত্যাকেও এই গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করছে তদন্তকারী সংস্থা।
এই কুখ্যাত ডন পিপোর গ্রেফতারকে ইকুয়েডরের আন্তর্জাতিক অপরাধ দমনের লড়াইয়ে এক বড় মোড় বলে মনে করা হচ্ছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us