/anm-bengali/media/media_files/2025/07/07/pakistan-a-2025-07-07-20-08-03.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: এ যেন ইতিহাসের এক বিস্ময়কর মোড়! ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে শহিদ হওয়া এক পাক সেনার দেহ ফিরিয়ে নিতে চায়নি পাকিস্তান। অথচ সেই একই সৈনিক, আজ পাকিস্তানে “জাতীয় বীর” হিসেবে সমাদৃত। কারগিল যুদ্ধের ২৬তম বর্ষপূর্তিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং পুরো সামরিক নেতৃত্ব শ্রদ্ধা জানালেন সেই শহিদ ক্যাপ্টেন কর্নেল শের খানের প্রতি।
তবে এই ‘বীর’কে নিয়ে পাকিস্তানের এই গর্বের গল্পের পেছনে রয়েছে এক লজ্জাজনক ইতিহাস। কারগিল যুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন ক্যাপ্টেন কর্নেল শের খান। কিন্তু পাকিস্তান সরকার প্রথমে তাঁর দেহ ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করে। তখন পাকিস্তান দাবি করছিল, কারগিলে ‘মুজাহিদিন’ লড়াই করছে, পাক সেনা নয়।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/07/pakistan-sher-khan-2025-07-07-20-08-51.jpg)
কিন্তু বাস্তবটা সামনে আসে ভারতীয় সেনার এক চিঠিতে। কারগিল যুদ্ধে টাইগার হিল পুনর্দখলের অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ব্রিগেডিয়ার এমপিএস বাজওয়া (অবসরপ্রাপ্ত)। শহিদ শের খানের বীরত্ব দেখে তিনি এতটাই মুগ্ধ হন যে, একটি চিঠিতে তাঁর সাহসিকতার কথা লিখে তা মৃতদেহের পকেটে রেখে দেন। সেই চিঠি পড়েই পাকিস্তান সরকার বুঝতে বাধ্য হয়, শের খান পাক সেনার ক্যাপ্টেন ছিলেন। এরপরই ২০০০ সালে তাঁকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘নিশান-ই-হায়দার’ প্রদান করা হয়, মৃত্যুর পর।
পাকিস্তানের এই ইউ-টার্ন কূটনৈতিক মহলে যেমন চমক তৈরি করেছে, তেমনই শহিদদের প্রতি ভারতীয় সেনার মর্যাদা প্রদানের সংস্কৃতিও উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us