স্বামীর দেহকে ১৫টা খণ্ড করে ড্রামের মধ্যে পুরে সিমেন্ট দিয়ে সিল! প্রকাশ্যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড

উত্তরপ্রদেশে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করল স্ত্রী।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
dead body 3.jpg


নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তর প্রদেশের মেরঠে এক ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, স্বামীকে খুন করে দেহ ১৫ টুকরো করে সিমেন্টের ড্রামে লুকিয়ে রেখেছিলেন স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক। নিহত ব্যক্তি মার্চেন্ট নেভির অফিসার সৌরভ রস্তোগি। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে রোমহর্ষক তথ্য, গ্রেফতার করা হয়েছে সৌরভের স্ত্রী মুসকান রস্তোগি ও তাঁর প্রেমিক সাহিলকে।

সদ্য লন্ডন থেকে ভারতে ফিরেছিলেন সৌরভ। শেষবার তাঁকে ৪ মার্চ দেখা গিয়েছিল, এবং সেদিনই খুন করা হয় বলে ধারণা পুলিশের। ২০১৬ সালে প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে করেছিলেন সৌরভ ও মুসকান। তাঁদের পাঁচ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে।

পারিবারিক জীবন শুরুতে স্বাভাবিক থাকলেও পরে সমস্যার সূত্রপাত হয়। স্ত্রীর সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে সৌরভ মার্চেন্ট নেভির চাকরি ছেড়ে দেন, যা তাঁর পরিবার ভালোভাবে নেয়নি। তিনি মুসকান ও সন্তানের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। তবে পরে সৌরভ জানতে পারেন যে মুসকানের সঙ্গে সাহিল নামে এক যুবকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে দাম্পত্য কলহ বাড়তে থাকে। বিচ্ছেদের কথাও ভাবেন তাঁরা, কিন্তু সন্তানের কথা ভেবে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন সৌরভ।

dead body .jpg

২০২৩ সালে তিনি আবার মার্চেন্ট নেভির কাজে যোগ দেন এবং বিদেশে চলে যান। ২৮ ফেব্রুয়ারি মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে দেশে ফেরেন সৌরভ। কিন্তু এর মধ্যেই মুসকান ও সাহিলের সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে ওঠে। পুলিশের অনুমান, তখনই সৌরভকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

পুলিশি জেরায় মুসকান স্বীকার করেছেন যে ৪ মার্চ তিনি সৌরভের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। অচেতন হয়ে পড়ার পর তাঁকে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর দেহ ১৫ টুকরো করে একটি ড্রামে রেখে, সেটি ভেজা সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়। পরিকল্পনা ছিল সুবিধামতো সময়ে ড্রামটি সরিয়ে ফেলা হবে।

সৌরভকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা সন্দেহ প্রকাশ করলে, মুসকান জানান যে তিনি পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছেন। তবে দীর্ঘদিন ফোনে যোগাযোগ না পেয়ে সৌরভের পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়। তদন্ত শুরু হতেই উদঘাটিত হয় এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের আসল সত্য।