/anm-bengali/media/media_files/2025/07/05/delhi-murder-2025-07-05-12-24-14.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লির লাজপত নগরের এক অভিজাত এলাকায় ঘটে গেল ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। শনিবার সকালে পুলিশ জানিয়েছে, ৪২ বছরের এক মহিলা ও তাঁর ১৪ বছরের ছেলেকে তাঁদের বাড়ির ভিতর নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। নিহত মহিলার নাম রুচিকা সেওয়ানি এবং তাঁর ছেলের নাম কৃষ সেওয়ানি। এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম মুকেশ (২৪)। জানা গিয়েছে, সে কাজ করত রুচিকার স্বামী কুলদীপ সেওয়ানির মালিকানাধীন একটি পোশাকের দোকানে।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, মুকেশ সম্প্রতি কাজে অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। সে কারণে তাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছিল। এই কারণে ক্ষোভ জমে মুকেশের মধ্যে। পুলিশ জানায়, প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যেই সে রুচিকা ও তাঁর ছেলেকে খুনের ছক কষে।
বুধবার রাতে, ঘটনার দিন, মুকেশ কোনওভাবে সেওয়ানিদের বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে রুচিকা ও কৃষের দেহ উদ্ধার হয়— দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। সন্দেহভাজন মুকেশ ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল, কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/02/13/qx1Ew5zP7ESSqQP67G34.jpg)
রুচিকার স্বামী কুলদীপ সেওয়ানি এখনও স্তম্ভিত। তিনি বলেন, “আমি ওকে (মুকেশ) কোনওদিন বকাঝকা করিনি। সবসময় ভালো ব্যবহার করতাম। তাহলে কেন এমন করল?”
ঘটনার রাতে রুচিকার এক আত্মীয় কেতন বলেন, “রাত ৯.৩০টা নাগাদ ফোন পাই— জানানো হয়, ঘরের দরজা বন্ধ, ভিতরে রক্ত পড়ে আছে, কেউ দরজা খুলছে না। আমি ছুটে আসি, পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে।” সেখানেই দেখা যায়, মা ও ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।
এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে লাজপত নগর সহ গোটা রাজধানীতে। কীভাবে একটি পারিবারিক ব্যবসায় কর্মরত এক ব্যক্তি এতটা নির্মম হতে পারে, সেই প্রশ্নই এখন সামনে উঠে আসছে।