/anm-bengali/media/media_files/2025/10/10/nobel-prize-peace-aa-2025-10-10-16-18-13.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাশাদো আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দীর্ঘ সময় লুকিয়ে থাকার পর গোপন এক স্থান থেকে জনগণের উদ্দেশে প্রকাশ করলেন তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত “ফ্রিডম ম্যানিফেস্টো”, যেখানে তিনি ঘোষণা করলেন—দেশে নয়া মুক্তির যুগ শুরু হয়েছে, আর স্বৈরশাসক নিকোলাস মাদুরোর সময় শেষের পথে। চার পাতার এই দলিল প্রকাশিত হয়েছে ৯ নভেম্বর তারিখে, যা মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জনসমক্ষে আনা হয়।
ভিডিও বার্তায় মাশাদো স্পষ্ট ভাষায় বলেন, প্রতিটি ভেনিজুয়েলানের জন্মগত অধিকার—ভোট দেওয়া, মত প্রকাশ করা, সভা-মিছিল করা এবং স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করা। তিনি দাবি করেন, এই অধিকার মানুষকে দিয়েছে সৃষ্টিকর্তা, কোনও রাজনৈতিক শক্তি বা কোনও সরকার নয়। তাঁর কথায়, দেশের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফেরানো এখন সময়ের দাবি।
আমেরিকার স্বাধিকার ঘোষণার ভাষা ধার করে তিনি আরও জানান, মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া যায় না, আর দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার ও দমন-পীড়নের মধ্যে থাকা ভেনিজুয়েলা এবার নতুন করে মাথা তুলতে চলেছে। মাশাদো বলেন, “একটি নতুন ভেনিজুয়েলা ছাই থেকে উঠে দাঁড়াচ্ছে। ফিনিক্স পাখির মতো আরও শক্তিশালী, আরও দীপ্তিমান, আরও অপ্রতিরোধ্য।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/10/nobel-prize-peace-2025-10-10-16-17-43.png)
গত বছরের বিতর্কিত নির্বাচনের পর, যেখানে সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কর্তৃপক্ষ মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণা করে, তখন থেকেই মাশাদোকে লুকিয়ে থাকতে হয়েছে। তবুও তাঁর লড়াই থামেনি। তাঁর এই ১৫ মিনিটের বার্তা প্রকাশের পরই আন্তর্জাতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ—মাশাদোর এই ঘোষণাই হয়তো মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে চলেছে।
দেশজুড়ে পরিবর্তনের আশায় জনগণের বড় অংশ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ঘোষণাকে সমর্থন জানাচ্ছে। অনেকের মতে, ভেনিজুয়েলায় এবার সত্যিই বড় রাজনৈতিক ঝড় বইতে চলেছে, আর এই ঝড়ের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মাশাদো—যিনি লড়াই ছেড়ে দেননি, পালিয়ে থেকেও নিজের দেশকে নতুন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাতে সাহস দেখিয়েছেন।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us