/anm-bengali/media/media_files/y9SZ59I8PSFELBlkUKhL.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর থেকে এক শিহরণ জাগানো ঘটনা সামনে এসেছে—যেখানে এক ছেলে নাকি নিজের মায়ের দেহ বাড়িতে নিতে অস্বীকার করেছে, কারণ বাড়িতে তখন বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা শোভা দেবী দীর্ঘ অসুস্থতার পর মারা যান। খবর পেয়ে তাঁর পুত্র নাকি আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মীদের নির্দেশ দেন, “মায়ের দেহ চার দিন ডিপ ফ্রিজারে রাখুন। এখন বাড়িতে বিয়ে চলছে, মৃতদেহ আনলে অশুভ হবে। বিয়ে শেষে নিয়ে যাব।”
বৃদ্ধাশ্রমের কর্মীরা এই ঘটনাকে অবিশ্বাস্য অমানবিকতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পরে কেন্দ্রের কর্মীরা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা দেহ বাড়িতে নিলেও সৎকার করেননি। শোভা দেবীর স্বামী জানিয়েছেন, কিছু আত্মীয় বলেছিলেন—দেহ চার দিন পর তুলে আবার সৎকার করা হবে। তাই তাঁরা দেহ কবর দিয়েছিলেন।
শোভা দেবীর স্বামী ভূয়াল গুপ্তা গোরখপুরের বাসিন্দা। পেশায় মুদি ব্যবসায়ী। তাঁর তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। প্রায় এক বছর আগে পারিবারিক বিবাদে বড় ছেলে নাকি তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ভূয়াল আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন রাজঘাটে। আশপাশের লোকজন তাঁকে থামিয়ে অযোধ্যা বা মথুরার কোনও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেন। ভূয়াল ও তাঁর স্ত্রী মথুরায় পৌঁছালে স্থানীয়রা জৌনপুরের এই বৃদ্ধাশ্রমের ঠিকানা দেন। আশ্রমের মালিক রবি কুমার চৌবে তাঁদের আশ্রয় দেন।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/02/13/qx1Ew5zP7ESSqQP67G34.jpg)
চৌবে জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে শোভা দেবীর পায়ে গুরুতর রোগ ধরা পড়ে। চিকিৎসা চলছিল। ১৯ নভেম্বর তাঁর অবস্থার অবনতি হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ভূয়াল ছোট ছেলেকে ফোনে জানান। ছোট ছেলে জানায়, বড়ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে জানাবে। পরে ফোনে বড় ছেলে জানায়—বিয়ের অনুষ্ঠানের কারণে দেহ চার দিন ফ্রিজে রাখতে হবে। বাড়িতে আনা যাবে না। সেই সময়েই আশ্রম কর্তৃপক্ষ সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বললেও একই উত্তর পান।
এই ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্য শেষবার শোভা দেবীকে দেখতে চান। এরপর দেহ জৌনপুর থেকে গোরখপুরে পাঠানো হয়।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us