/anm-bengali/media/media_files/2025/11/11/umar-delhi-blast-2025-11-11-20-42-47.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লির লালকেল্লার সামনে সোমবার সন্ধ্যার ভয়াবহ বিস্ফোরণ নিয়ে উঠে এসেছে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ফারিদাবাদের সন্ত্রাস মডিউল ধ্বংস হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত আতঙ্কে নিজের গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। সেই সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বোমাটি তখনও সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়নি, অর্থাৎ একটি অসম্পূর্ণ আইইডি (Improvised Explosive Device) বিস্ফোরিত হয়েই গাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায়। গাড়িটি চলন্ত অবস্থায়ই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলে কোনও গভীর গর্ত বা ছিন্নবস্ত্রের টুকরো পাওয়া যায়নি, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বোমাটির পূর্ণ বিস্ফোরণ ক্ষমতা ছিল না।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলির দাবি, ফারিদাবাদের মডিউল ভেঙে পড়ার পর দেশজুড়ে যে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল, সেটিই হয়তো একটি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতে সাহায্য করেছে। নাহলে এই বিস্ফোরণ আরও মারাত্মক হতে পারত।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/11/delhi-blastaaa-2025-11-11-19-23-28.png)
তদন্তে উঠে এসেছে যে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ডাঃ উমর নাবি, কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা। সম্প্রতি যাঁর নাম উঠে এসেছে ফারিদাবাদের সন্ত্রাস চক্রের সঙ্গে জড়িত হিসেবে। ওই মডিউল থেকে প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ উদ্ধার হয়েছিল, যা দেশের অন্যতম বড় জঙ্গি ষড়যন্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে।
ডাঃ উমর নাবি ওই হুন্ডাই i20 গাড়িটির চালক ছিলেন বলে তদন্তে জানা গেছে। প্রাথমিক অনুমান, তিনি নিজেই ওই বিস্ফোরণে মারা গেছেন। নিহত ১২ জনের মধ্যে তাঁর নামও থাকতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এই বিস্ফোরণ শুধু রাজধানীতেই নয়, গোটা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর এক বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন সম্ভাব্য “সাদা কলারের সন্ত্রাস চক্র”-এর খোঁজে নেমেছে— যেখানে শিক্ষিত ও পেশাদার মানুষদেরও জড়িত থাকার আশঙ্কা প্রবল।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us