/anm-bengali/media/media_files/2025/11/11/umar-delhi-blast-2025-11-11-20-42-47.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: লালকেল্লার কাছে ১০ নভেম্বরের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আত্মঘাতী হামলাকারী ড. উমর মোহাম্মদ ওরফে উমর-উন-নবি যে ভিডিওটিতে আত্মঘাতী হামলাকে “শহিদি অভিযান” বলে উল্লেখ করেছিলেন, সেই ভিডিওটি বিস্ফোরণের অন্তত এক সপ্তাহ আগে শ্যুট করা হয়েছিল বলে আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত কাশ্মীরের পুলওয়ামায়। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে উমর নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরিবারকে দেখার পর তিনি ফারিদাবাদে ফেরার আগে নিজের দুটি ফোনের মধ্যে একটি ফোন ভাইয়ের হাতে তুলে দেন। সেই ফোনই এখন তদন্তকারীদের হাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হয়ে উঠেছে। ভিডিওটি যে আগে থেকেই তৈরি ছিল, তার প্রথম প্রমাণ ওই ফোন থেকেই মিলেছে।
উমরের ভাই বাড়িতে বসেই একের পর এক চমকে যাওয়ার মতো খবর পান। নভেম্বর ৭-এ আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁর সহকর্মী ড. আদিল আহমদ রাথরকে গ্রেপ্তার করা হয় শ্রীনগরে জঙ্গি সংগঠনের পোস্টার লাগানোর অভিযোগে। মাত্র দুই দিন পর, ৯ নভেম্বর, বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধারের মামলায় ধরা পড়েন আরও এক সহকর্মী ড. মুজাম্মিল শাকিল। পরদিন, অর্থাৎ ১০ নভেম্বর, উমর আত্মঘাতী বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি জানতে পারেন তৃতীয় সহকর্মী ড. শাহিন সঈদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/10/delhi-blast-2025-11-10-19-41-29.png)
এই ধারাবাহিক গ্রেপ্তারের খবরেই বাড়ির সবাই অস্বস্তিতে ছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউই ভাবতে পারেননি, ঠিক সেই রাতেই দিল্লির উপকণ্ঠে উমর বিস্ফোরকভরা গাড়ি নিয়ে লালকেল্লার কাছে পৌঁছে যাবেন এবং ঘটবে সেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ, যাতে মৃত্যু হয় ১৩ জন নিরীহ মানুষের।
তদন্তকারীরা এখন উমরের শেষ সপ্তাহের চলাফেরা, তাঁর ফোনের তথ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীদের গ্রেপ্তারের টাইমলাইন মিলিয়ে ঘটনার পূর্ণ চিত্র তৈরি করছেন। ভিডিওটি আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল—এই তথ্য উঠে আসার পর তাঁরা মনে করছেন, হামলা ছিল পরিকল্পিত এবং সুসংগঠিত।
এই ঘটনায় দেশজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তদন্ত আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us