/anm-bengali/media/media_files/y9SZ59I8PSFELBlkUKhL.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দুই মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন এক তরুণী। অবশেষে হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হল তাঁর পচাগলা মৃতদেহ। যা পাওয়া গেল তাঁরই শ্বশুরবাড়ির বাড়ির সামনের মাটির নিচে চাপা অবস্থায়। মৃত তরুণীর নাম টন্নু কুমার। তিনি উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের শিকোহাবাদ এলাকার বাসিন্দা। প্রায় দুই বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল অরুণ সিং নামে এক যুবকের সঙ্গে।
মেয়ের খোঁজে বারবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন টন্নুর বাবা হাকিম। তিনি বারবার পুলিশকে বলেছিলেন, শ্বশুরবাড়ির বাড়ির সামনে নতুন করে মাটি খোঁড়া হয়েছে, এবং তা খুব তাড়াহুড়ো করে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ শোনেনি। পরে তিনি নিজে ভাইয়ের বাড়ি এসে সেই গর্ত দেখেছিলেন।
অবশেষে পুলিশের সন্দেহ হওয়ার পর সেই গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় টন্নুর মৃতদেহ। এই ঘটনার পর টন্নুর শ্বশুর বাড়িতে থাকা চারজন—বৃদ্ধ শ্বশুর ভূপ সিং, শাশুড়ি সোনিয়া, স্বামী অরুণ সিং এবং ননদ কাজলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/02/13/qx1Ew5zP7ESSqQP67G34.jpg)
পুলিশ জানিয়েছে, ২৩ এপ্রিল অরুণ ও তাঁর বাবা একটি জেসিবি মেশিন ডেকে আনেন এবং বাড়ির সামনের রাস্তায় ১০ ফুট গভীর একটি গর্ত খুঁড়ে ফেলেন। পরের দিন একটি রাজমিস্ত্রী ডেকে সেই গর্ত আবার মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে বলেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তখন কিছু সন্দেহ করলেও বিষয়টি চেপে যায়।
দুই মাস পর অবশেষে প্রকাশ্যে এল নির্মম ও শিউরে ওঠা সত্যি—এক নববধূকে খুন করে নিজেরাই চাপা দিল শ্বশুরবাড়ির সামনে। এখন চার অভিযুক্ত পুলিশ হেফাজতে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us