/anm-bengali/media/media_files/2025/07/14/jail-prison-1-2025-07-14-01-33-17.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: গুজরাটে আলোচিত ‘রিসিন টেরর কনস্পিরেসি’ মামলার প্রধান অভিযুক্ত ড. আহমেদ মোহিউদ্দিন সাইয়েদ—যিনি ‘জিলানি’ নামেও পরিচিত—আহমেদাবাদের সাবরমতি সেন্ট্রাল জেলে আচমকা সংঘর্ষে আহত হলেন। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে, আর তা ঘটতেই জেল প্রশাসন ও তদন্তকারীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র বারো ঘণ্টা আগেই তাঁকে ও দুই সহ-অভিযুক্তকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ওই উচ্চ নিরাপত্তার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভোরের কিছু পরে প্রায় সকাল ৭টার সময় ঝামেলাটি শুরু হয়। সেই সময় উচ্চ নিরাপত্তা ইউনিটের ভেতরে তিন স্থানীয় আন্ডারট্রায়াল বন্দির সঙ্গে সাইয়েদদের বচসা বেঁধে যায়। ঠিক কী কারণে হঠাৎ সংঘর্ষ, তা নিয়ে জেল সুপারিন্টেনডেন্ট গৌরব আগরওয়ালও স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারেননি। কারণ এখনো পর্যন্ত এই বিবাদের সঠিক কারণ অজানা। তবে জেল সূত্রে জানা যাচ্ছে—মাঝখানে উত্তেজনা দ্রুত বেড়ে গিয়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/faI0bsPCJXdOe0gsiYf0.jpg)
এই গোলমালেই সাইয়েদ চোট পান। তাঁকে তৎক্ষণাৎ সাবরমতি সেন্ট্রাল জেল থেকে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল, প্রাণহানির আশঙ্কা নেই। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ফের জেলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে জেল প্রশাসন ঘটনা জানিয়ে দিয়েছে স্থানীয় থানাকে। খুব শীঘ্রই এ ঘটনায় একটি FIR নথিভুক্ত হবে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।
রিসিন–ভিত্তিক সন্ত্রাস ষড়যন্ত্রের তদন্ত এমনিতেই জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তার মধ্যেই প্রধান অভিযুক্তের ওপর জেলে হামলা—ঘটনাটি আরও সন্দেহ ও রহস্য বাড়াচ্ছে তদন্তকারী সংস্থার কাছে। এই সংঘর্ষ কি শুধুই বন্দিদের মধ্যকার বিরোধ, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো উদ্দেশ্য—তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
গোটা সাবরমতি জেলে নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীরা বলছেন—ঘটনার প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত কোনো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছে না তারা।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us