নিজস্ব সংবাদদাতা: গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে সেনাবাহিনী ও ভারতের ভূখণ্ড সংক্রান্ত মন্তব্যে কড়া ধমক খেলেন রাহুল গান্ধী। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে এই নয় যে কেউ যা খুশি বলবে। কংগ্রেস নেতা ও লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর একটি মানহানির মামলার শুনানিতে এমনই কঠোর মন্তব্য করল দেশের শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি এজি মাসিহের বেঞ্চ রাহুল গান্ধীর পুরনো এক মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে, যেখানে তিনি বলেছিলেন, “চীন ভারতের ২০০০ বর্গকিমি জমি দখল করেছে।” আদালতের প্রশ্ন, রাহুল গান্ধী কীভাবে জানলেন, চীন ভারতীয় জমি দখল করেছে? কিসের ভিত্তিতে তিনি এমন দাবি করেছিলেন? এর পাশাপাশি আদালত আরও বলেন, “মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটা বলে দেওয়ার লাইসেন্স নয় যে কেউ যা খুশি বলবে।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/vMP6pvtm9PNRO9t1tbAE.jpg)
২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। এরপরেই রাহুল গান্ধী সেনাবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্যে চীন সংক্রান্ত যে মন্তব্য ছিল, তা ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক এবং দায়ের হয় মানহানির মামলা।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা রাহুল গান্ধীর বক্তব্য নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আদালত স্পষ্ট করে দেয়, দেশের সেনাবাহিনীর মতো সংবেদনশীল ইস্যু নিয়ে দায়িত্বহীন মন্তব্য করলে, তার ফল ভোগ করতেই হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গণতন্ত্রে স্বাধীন মতপ্রকাশ থাকা জরুরি, কিন্তু সেই স্বাধীনতার অপব্যবহার করলে সেটা আইনি সীমারেখা লঙ্ঘন।
এখন দেখার বিষয়, আদালতের এই মন্তব্যের পর রাহুল গান্ধী নিজের অবস্থান থেকে পিছু হটেন কি না, কিংবা ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন কি না।
"মত প্রকাশ মানে যা খুশি বলা নয়!" — গালওয়ান ইস্যুতে রাহুলকে কড়া বার্তা সুপ্রিম কোর্টের
গালওয়ান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে রাহুল গান্ধী।
নিজস্ব সংবাদদাতা: গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে সেনাবাহিনী ও ভারতের ভূখণ্ড সংক্রান্ত মন্তব্যে কড়া ধমক খেলেন রাহুল গান্ধী। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে এই নয় যে কেউ যা খুশি বলবে। কংগ্রেস নেতা ও লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর একটি মানহানির মামলার শুনানিতে এমনই কঠোর মন্তব্য করল দেশের শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি এজি মাসিহের বেঞ্চ রাহুল গান্ধীর পুরনো এক মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে, যেখানে তিনি বলেছিলেন, “চীন ভারতের ২০০০ বর্গকিমি জমি দখল করেছে।” আদালতের প্রশ্ন, রাহুল গান্ধী কীভাবে জানলেন, চীন ভারতীয় জমি দখল করেছে? কিসের ভিত্তিতে তিনি এমন দাবি করেছিলেন? এর পাশাপাশি আদালত আরও বলেন, “মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটা বলে দেওয়ার লাইসেন্স নয় যে কেউ যা খুশি বলবে।”
২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। এরপরেই রাহুল গান্ধী সেনাবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্যে চীন সংক্রান্ত যে মন্তব্য ছিল, তা ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক এবং দায়ের হয় মানহানির মামলা।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা রাহুল গান্ধীর বক্তব্য নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আদালত স্পষ্ট করে দেয়, দেশের সেনাবাহিনীর মতো সংবেদনশীল ইস্যু নিয়ে দায়িত্বহীন মন্তব্য করলে, তার ফল ভোগ করতেই হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গণতন্ত্রে স্বাধীন মতপ্রকাশ থাকা জরুরি, কিন্তু সেই স্বাধীনতার অপব্যবহার করলে সেটা আইনি সীমারেখা লঙ্ঘন।
এখন দেখার বিষয়, আদালতের এই মন্তব্যের পর রাহুল গান্ধী নিজের অবস্থান থেকে পিছু হটেন কি না, কিংবা ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন কি না।