ট্রেনের সামনে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল স্যুটকেস, খুলতেই বেরোল ১৭ বছরের রীমার দেহ!

বেঙ্গালুরুতে কিশোরী খুনের ঘটনায় বিহার থেকে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
hand-dead-victim-woman-covered-600nw-

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: বেঙ্গালুরুর আলোড়ন তোলা স্যুটকেস কিশোরী খুনের ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে সাত জনকে। ধৃতরা সকলেই বিহারের নওয়াদা জেলার বাসিন্দা। বেঙ্গালুরুর সূর্যনগর থানার পুলিশ তাঁদের বিহার থেকে পাকড়াও করে কর্ণাটকে নিয়ে এসেছে ট্রানজিট রিমান্ডে।

ধৃতদের মধ্যে তিনজনের নাম প্রকাশ্যে এসেছে— আশিক কুমার, রাজারাম মোহন ও মুকেশ। জানা গেছে, আশিক বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে। তবে, ঠিক কী কারণে ১৭ বছরের কিশোরী রীমাকে খুন করা হল, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ এই বিষয়ে ধৃতদের জেরা করছে।

Arrest

এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে ২১ মে, যখন বেঙ্গালুরুর পুরনো চাঁদপুর রেল ব্রিজের কাছে একটি নীল রঙের স্যুটকেস পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে সেটি খুলতেই ভিতরে পাওয়া যায় এক কিশোরীর মরদেহ। পরে জানা যায়, মৃতার নাম রীমা এবং বয়স ১৭ বছর।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কিশোরীকে অন্য কোথাও খুন করে দেহ স্যুটকেসে ভরে একটি ক্যাবে করে আনা হয় রেললাইনের ধারে। তারপর প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে সেটিকে ট্রেনের সামনে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়।

এই ঘটনার তদন্ত মূলত রেল পুলিশের আওতায় এলেও, বেঙ্গালুরু (গ্রামীণ) জেলার পুলিশও সমান্তরাল তদন্ত করছে। পুলিশ সুপার সি কে বাবা জানিয়েছেন, “এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনকে ধরা হয়েছে। খুনের কারণ জানতে তদন্ত চলছে।”

ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তা জানতেও পুলিশ তৎপর। খুনের পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা, প্রেমঘটিত সম্পর্ক বা অন্য কোনও অপরাধচক্র জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে। কিশোরী রীমার সঙ্গে ধৃতদের ঠিক কী সম্পর্ক ছিল, সেই দিকেও নজর দিচ্ছে তদন্তকারী দল।