/anm-bengali/media/media_files/2025/07/12/gopal-khemka-2025-07-12-12-05-23.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: গোপাল খেমকা হত্যাকাণ্ডে বড়সড় অগ্রগতি ঘটাল পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া শ্যুটার উমেশ যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। পুলিশের কাছে উমেশ স্বীকার করেছে যে সে আর্থিক সংকটে পড়েই গোপাল খেমকাকে খুন করেছে, এবং এই হত্যাকাণ্ড সে একা ঘটায়নি। তবে, এখনো পর্যন্ত সে তার সঙ্গীদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসা করে, তার সঙ্গে আশোক সাও-এর সম্পর্ক ঠিক কীরকম। উত্তরে উমেশ জানায়, তাদের পরিচয় হয়েছিল প্রায় দেড় বছর আগে। শেষবার তারা এক মাস দেড়েক আগে বিহার শরীফে দেখা করেছিল, সেখানেই গোপাল খেমকাকে খুনের ছক কষা হয় বলে জানিয়েছে উমেশ।
যখন পুলিশ জানতে চায় খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র সে কোথা থেকে পেয়েছিল, তখন উমেশ বলে, সে একটি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি—বিকাশ নামের কারো কাছ থেকে টাকা দিয়ে অস্ত্র সংগ্রহ করেছিল।
যতই পুলিশ তাকে প্রশ্ন করুক, কে কে এই খুনে জড়িত ছিল, সে বিষয়ে উমেশ মুখ খুলছে না। এতে পুলিশ সন্দেহ করছে যে, ঘটনাস্থলে আরও একাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিল, যারা এখনো ধরা পড়েনি।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/y9SZ59I8PSFELBlkUKhL.jpg)
নিজের অপরাধী অতীত সম্পর্কে জানতে চাইলে উমেশ বলে, এই প্রথম সে এমন কিছু করেছে এবং শুধুমাত্র অর্থের অভাবেই সে এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। পুলিশের জেরার মুখে সে বলে, "আমি বাধ্য হয়ে করেছি, আমার খুব টাকার দরকার ছিল।"
বর্তমানে উমেশ যাদব ও আশোক সাও, দু’জনেই পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন এবং তদন্ত চলছে অত্যন্ত কড়াভাবে। পুলিশ ২০০টি প্রশ্নের একটি তালিকা নিয়ে একাধিক দলে ভাগ হয়ে উমেশকে জেরা করছে। তদন্তের মূল লক্ষ্য এখন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করা।
প্রসঙ্গত, খ্যাতনামা শিল্পপতি গোপাল খেমকা গত সপ্তাহে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। রাত প্রায় ১১টা নাগাদ, গান্ধী ময়দান থানা এলাকার প্যানাশ হোটেলের পাশে, নিজের গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি টুইন টাওয়ার সোসাইটিতে বাস করতেন।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us