/anm-bengali/media/media_files/y9SZ59I8PSFELBlkUKhL.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লির কিশোরের আত্মহত্যা ঘিরে চাঞ্চল্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই উঠে আসছে একের পর এক নতুন তথ্য। পুলিশ আজ স্কুল থেকে গুরুত্বপূর্ণ CCTV ফুটেজ উদ্ধার করেছে—সেই ফুটেজেই কি ধরা পড়ল মৃত্যুর সূত্র? পরিবার এবং সহপাঠীদের অভিযোগে তৎপর হয়েছে তদন্তকারী দল।
ঘটনাটি ঘটেছিল ১৮ নভেম্বর, রাজেন্দ্র প্লেস মেট্রো স্টেশনে। আচমকা ঝাঁপ দিয়েছিল ১৬ বছরের স্কুলছাত্র। সাথে পাওয়া যায় একটি ছোট্ট সুইসাইড নোট, যেখানে লেখা—
“Sorry Mummy, aapka itni bar dil toda, ab last bar todunga. School ki teachers ab hai hi aise, kya bolu…”
এই একটি লাইনেই যেন স্পষ্ট হয়ে ওঠে ছেলেটির ভিতরের যন্ত্রণা, একা হয়ে ওঠা তার লড়াই।
পরিবারের দাবি, কয়েকদিন ধরেই ছেলেটিকে মানসিকভাবে চরমভাবে চাপের মধ্যে রাখছিল স্কুলের কিছু শিক্ষক। তাঁরা নাকি প্রায়ই হুমকি দিতেন—‘তোমার বাবা-মাকে ডাকব’, ‘ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দিয়ে দেব’। মৃতের বাবা FIR–এ লিখেছেন, শিক্ষকরা প্রকাশ্যে ছেলেটিকে অপমান করতেন, এমনকি এক শিক্ষক নাকি তাকে ধাক্কাও দেন।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/02/13/qx1Ew5zP7ESSqQP67G34.jpg)
শুধু পরিবারের অভিযোগ নয়—৩ জন সহপাঠীও পুলিশের কাছে একই কথা জানিয়েছে। তাদের দাবি, ক্লাসের ভিতরেই বহুবার ছেলেটিকে বকাঝকা, অপমান এবং হুমকি দিতে দেখা গেছে। তারা নাকি নিজ চোখে দেখেছে সেই ‘অসহনীয় মুহূর্তগুলো’।
স্কুলের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা CCTV ফুটেজ এখন পুলিশের হাতে। সূত্রের খবর, কিছু ফুটেজে দেখা যেতে পারে এমন আচরণ, যা আত্মহত্যার পেছনের মানসিক চাপের তীব্রতা আরও স্পষ্ট করতে পারে।
তদন্তকারীরা বলছেন, “প্রত্যেক মিনিটের ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ছেলেটির মানসিক অবস্থা এবং স্কুলের পরিবেশ—দুটোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়েও শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us