১১ নভেম্বর লালকেল্লা রক্তাক্ত করার পরিকল্পনা কীভাবে তৈরি হয়েছিল? চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল NIA

লালকেল্লা বিস্ফোরণে NIA–র বড় সাফল্য। আত্মঘাতী বোমারু উমর উন নবির পরিচয় নিশ্চিত, সহযোগী আমির রশিদ গ্রেফতার। গাড়ি–বাহী IED ব্যবহারের প্রমাণ মিলল।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Umar delhi blast

নিজস্ব সংবাদদাতা: লালকেল্লা এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় বড় সাফল্যের কথা জানাল NIA। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ঘটনাটি একটি গাড়ি–বাহী আইইডি ব্যবহার করে ঘটানো হয়েছিল এবং সেই গাড়িটি চালাচ্ছিল আত্মঘাতী বোমারু উমর উন নবি। এই উমর নবি শুধু পুলওয়ামার বাসিন্দাই নন, তিনি ফারিদাবাদের আল-ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনারেল মেডিসিন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবেও কাজ করতেন। ফরেনসিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে যে বিস্ফোরণের পর গাড়ির ভেতরে মৃত অবস্থায় যে ব্যক্তির দেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেটি উমর উন নবিরই।

delhi blastaaa

বিস্ফোরণে ১৩ মানুষ মারা যান এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হন। এরই মধ্যে তদন্তে বড় অগ্রগতি হয়েছে। NIA গ্রেফতার করেছে আমির রশিদ আলিকে, যিনি জম্মু–কাশ্মীরের সামবুরা, পাম্পোর এলাকার বাসিন্দা। তদন্তকারীরা বলছেন, আমির নবি–র ঘনিষ্ঠ এবং তার সঙ্গে মিলে এই হামলার ছক কষেছিল। যে গাড়িটি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়েছিল, সেটি আমিরের নামেই রেজিস্টার্ড। তদন্তে উঠে এসেছে, গাড়ি কেনার সময় আমির নিজে দিল্লিতে এসে সাহায্য করেছিল এবং পরে সেটিকে আইইডি–সজ্জিত গাড়িতে রূপান্তর করা হয়।

NIA আরও জানিয়েছে, উমর উন নবির আরেকটি গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে, যার ভেতরে হামলার সঙ্গে জড়িত আরও কোনও প্রমাণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা বিষয়টি দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন, হামলাটি ছিল সুপরিকল্পিত এবং এতে শিক্ষিত, প্রশিক্ষিত নেটওয়ার্ক জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উন্মোচিত হচ্ছে।