বেদুইনেরা দিল গোপন সূত্র, ১৪ দিন গোপনে ট্র্যাকিং, স্যাটেলাইটে ফের সক্রিয় সংকেত! শেষমেশ খতম কাশ্মীরে লস্কর-জইশ গোষ্ঠী

কীভাবে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানতে পেরেছিল, জানলে চমকে উঠবেন।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
chinar crop

নিজস্ব সংবাদদাতা: ডাচিগামের জঙ্গলে সন্দেহজনক স্যাটেলাইট বার্তা! জুলাই মাসের শুরুতেই ভারতীয় সেনার হাতে এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ গোপন যোগাযোগ ধরা পড়ে, যার জেরে চরম সতর্কতা জারি হয় গোটা কাশ্মীর উপত্যকায়। সেনার কাছে থাকা প্রযুক্তি-ভিত্তিক নজরদারি ব্যবস্থা এবং ইন্টেলিজেন্স ইনপুট অনুযায়ী, ওই সন্দেহজনক স্যাটেলাইট সিগন্যালের উৎস ছিল লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদের একটি যৌথ সেল।

গোপন বার্তা সংগ্রহের পরই সেনা ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলি একটি নির্দিষ্ট টার্গেটের উপর নজরদারি শুরু করে। প্রায় ১৪ দিন ধরে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীকে নীরবে ট্র্যাক করা হয়। সেনার এই দীর্ঘ সময়ের অপারেশন চালানোর পেছনে ছিল কৌশলী প্রযুক্তি, স্থানীয় গোয়েন্দা সূত্র এবং সবচেয়ে বড় সাহায্য এসেছিল উপত্যকার স্থানীয় বেদুইন বা ‘গুজ্জর’ সম্প্রদায়ের কাছ থেকে।

স্থানীয় এই যাযাবর গোষ্ঠীর সদস্যরা জঙ্গিদের গতিবিধি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সেই স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের তথ্যের সঙ্গে মিলে যায়। অর্থাৎ সেনার কাছে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হয়।

pahalgam terrorists

আরও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, মাত্র দু’দিন আগে ফের সক্রিয় হয় সেই একই স্যাটেলাইট চ্যানেল। নতুন করে সংকেত ধরা পড়তেই ফের চাঙ্গা হয়ে ওঠে গোটা নিরাপত্তা পরিকাঠামো। সেনা, সিআরপিএফ ও পুলিশের যৌথ বাহিনী আরও গভীর নজরদারি চালাতে শুরু করে, যার জেরেই শেষপর্যন্ত ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর উপস্থিতি নিশ্চিত হয়ে যায়। দ্রুত অভিযান চালিয়ে একাধিক জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এই অভিযান ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং নিখুঁত গোয়েন্দা কৌশলের ফলাফল। উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ দমন এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনার এই সাফল্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।