/anm-bengali/media/media_files/2025/08/24/noidas-2025-08-24-21-53-06.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: গ্রেটার নয়ডার হত্যা মামলা একের পর এক চাঞ্চল্যকর মোড় নিচ্ছে। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে চার অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত তরুণী নিক্কি, যাকে তার স্বামী বিবাহের পর থেকে পণের জন্য নির্যাতন করত, ২১ আগস্ট ভয়ঙ্কর পরিণতির শিকার হন। অভিযোগ, স্বামী ভিপিন ভাটী তাকে পুড়িয়ে মারেন। নিক্কিকে প্রথমে নয়ডার ফোর্টিস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর নিক্কির বোন কাঞ্চন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার গ্রেপ্তার হয় স্বামী ভিপিন। রবিবার গ্রেপ্তার করা হয় শাশুড়ি দয়া দেবীকে। সোমবার পুলিশের জালে ধরা পড়ে শ্বশুর সত্যবীর (৫৫) এবং দেওর রোহিত ভাটী (২৮)। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক ছিল। এ নিয়ে এফআইআরে নাম থাকা চার অভিযুক্তই পুলিশের হেফাজতে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/y9SZ59I8PSFELBlkUKhL.jpg)
নিক্কির বোন কাঞ্চন সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করেন। একটিতে দেখা যায়, নিক্কিকে চুল ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আরেকটি ভিডিও আরও ভয়ঙ্কর—নিক্কির শরীরে আগুন জ্বলছে, কিছুক্ষণ পরই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে দেশ।
অন্যদিকে, রবিবার ভিপিনকে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হলে সে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয় এবং ভিপিনের পায়ে গুলি লাগে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে ভিপিন বলেন, “আমার কোনও অনুতাপ নেই। নিক্কি নিজেই আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।” তবে পুলিশের জেরায় সে স্বীকার করে, স্ত্রীর ইনস্টাগ্রাম রিল বানানো এবং আবার বিউটি পার্লার খোলার ইচ্ছে নিয়ে তীব্র অশান্তি হয়েছিল। পরিবারে এইসব “বরদাস্ত নয়” বলেই জানায় ভিপিন। সেই ঝগড়ার পরই নিক্কিকে খুন করে বলে দাবি পুলিশের।
নিক্কির মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তার একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাকে একটি মেরসিডিজ গাড়িতে দেখা যাচ্ছে। এই ভিডিও নিয়েও নানান আলোচনা শুরু হয়েছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us