“এই সরকার মহিলাদের প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন”—মহারাষ্ট্রে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে সঞ্জয় রাউতের ক্ষোভ

মহিলা চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সঞ্জয় রাউত।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
sanjay rautty1.jpg


নিজস্ব সংবাদদাতা: মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায় এক মহিলা চিকিৎসকের মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় পড়ে গেছে। শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে গোষ্ঠী)-এর সাংসদ সঞ্জয় রাউত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “মহারাষ্ট্রে মহিলাদের সুরক্ষা আজ চরম সংকটে। যে রাজ্য একসময় মহিলাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বলে পরিচিত ছিল, আজ সেই রাজ্যেই মহিলাদের জীবন অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।”

রাউত অভিযোগ করেন, সাতারার ওই মহিলা চিকিৎসক আত্মহত্যার মতো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, “মুম্বই ও সাতারা জেলার মধ্যে এক মহিলা চিকিৎসককে এমনভাবে মানসিকভাবে চাপে ফেলা হয়েছে যে তিনি নিজের জীবন শেষ করে দিলেন। এটি শুধুই আত্মহত্যা নয়, এটি সমাজ ও প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।”

তিনি তীব্র ভাষায় বলেন, “যদি এই ধরনের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, কর্নাটক বা হিমাচল প্রদেশে ঘটত, তবে বিজেপি সারাদেশে হইচই ফেলে দিত। কিন্তু মহারাষ্ট্রে ঘটায় তারা চুপ রয়েছে। কারণ এখানে তাদের সরকার চলছে।”

রাউত আরও বলেন, “এই সরকার এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। প্রশাসন যদি এখনই সজাগ না হয়, তাহলে মহিলাদের নিরাপত্তা আরও বড় সংকটে পড়বে।”

sanjay_raut

শিবসেনা (ইউবিটি)-র এই মন্তব্যে রাজ্যের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সুর তুলেছে। রাজ্যের বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে, এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার, যাতে প্রকৃত দোষীরা চিহ্নিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই মহিলা চিকিৎসক সম্প্রতি কর্মক্ষেত্রে অপমান ও মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর পরিবারও দাবি করেছে, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং এক ধরনের ‘সিস্টেমিক হ্যারাসমেন্ট’-এর ফল।