নিজস্ব সংবাদদাতা: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সোমবার এই ঘোষণা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, তাঁর দল বহুদিন ধরেই নির্ভুল ভোটার তালিকার দাবি জানিয়ে আসছে, তবে এই প্রক্রিয়ায় যদি কোনও বৈধ ভোটার বা নাগরিকের নাম বাদ যায়, তাহলে আইনি পথে জোরালো প্রতিবাদ করা হবে।
কুণাল বলেন, “কমিশনের ঘোষণার বিষয়গুলি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব খতিয়ে দেখছে। আমরা সবসময় নির্ভুল ভোটার তালিকার পক্ষে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসই প্রথম জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল, যখন অন্য রাজ্যের ভোটার তালিকা কপি করে বাংলার তালিকায় বসানো হয়েছিল। পরে সেই তথ্য মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতেও ধরা পড়ে।”
তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, “যদি কোনও বৈধ ভোটার বা নাগরিককে বাদ দেওয়া হয়, যদি হয়রানি করা হয়, তাহলে আমরা নীরব থাকব না। প্রয়োজনে এক লক্ষ কর্মী নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, নির্ভুল ও স্বচ্ছ ভোটার তালিকাই গণতন্ত্রের ভিত্তি। কিন্তু সেই নামে যদি সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলা হয়, তৃণমূল তার প্রতিবাদ করবে।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/ElxSQD9CHzIv24P1iMox.jpg)
কুণাল ঘোষ একইসঙ্গে রাজ্যের সাধারণ মানুষ ও মতুয়া সম্প্রদায়ের উদ্দেশে আবেদন জানান, “আমরা জানি, বিজেপি এই প্রক্রিয়াকে অন্যভাবে ব্যবহার করতে পারে। যদি কেউ অন্যায়ভাবে বাদ যান বা হয়রানির শিকার হন, তাহলে আইনসম্মত পথে প্রতিবাদ করুন, কিন্তু কোনওরকম হিংসাত্মক প্ররোচনায় পা দেবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের পাশে আছেন, কোনও অবস্থাতেই কাউকে একা হতে দেব না।”
ভবিষ্যদ্বাণী করে কুণাল আরও বলেন, “SIR শেষ হলে দেখা যাবে, তৃণমূল কংগ্রেস ২৫০ আসন নিয়ে চতুর্থবারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মুখ্যমন্ত্রী করবে। আমাদের বুথ স্তরের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। বিজেপি ভোটের ফল প্রকাশের পরই বুঝবে, সংগঠন কাকে বলে।”
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে কুণাল সতর্কবার্তা দেন, “কমিশনকে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। যদি বিজেপির প্রভাবে কোনও বৈধ ভোটারকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে সাংবিধানিক উপায়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়বে।”
অন্যদিকে, বিজেপির মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় কুণালের মন্তব্যে কটাক্ষ করে বলেন, “তৃণমূল এখন বলছে, বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না। অথচ গতকাল পর্যন্ত বলছিল, বাংলায় SIR চলতে দেবে না। মানে আজ অবস্থান বদলে নিয়েছে। বিজেপি কোনও প্ররোচনা দেয়নি, আমরা শুধু বলেছি—বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ দিতে হবে।”
রাজনীতির ময়দানে এখন একটাই প্রশ্ন—SIR ঘিরে শুরু হওয়া এই তীব্র বাকযুদ্ধ কি আসন্ন লোকসভা ভোটের নতুন ইস্যু হয়ে উঠবে?
বাংলায় শুরু বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা, কুণাল ঘোষ বললেন—“যদি বৈধ নাগরিক বাদ পড়েন, এক লক্ষ কর্মী নিয়ে ঘেরাও করব কমিশনকে”
কুণাল ঘোষ বলেন, এক জন বৈধও ভোটারের নাম বাদ গেলে এক লক্ষ কর্মী নিয়ে গিয়ে কমিশনকে ঘেরাও করবে।
নিজস্ব সংবাদদাতা: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সোমবার এই ঘোষণা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, তাঁর দল বহুদিন ধরেই নির্ভুল ভোটার তালিকার দাবি জানিয়ে আসছে, তবে এই প্রক্রিয়ায় যদি কোনও বৈধ ভোটার বা নাগরিকের নাম বাদ যায়, তাহলে আইনি পথে জোরালো প্রতিবাদ করা হবে।
কুণাল বলেন, “কমিশনের ঘোষণার বিষয়গুলি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব খতিয়ে দেখছে। আমরা সবসময় নির্ভুল ভোটার তালিকার পক্ষে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসই প্রথম জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল, যখন অন্য রাজ্যের ভোটার তালিকা কপি করে বাংলার তালিকায় বসানো হয়েছিল। পরে সেই তথ্য মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতেও ধরা পড়ে।”
তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, “যদি কোনও বৈধ ভোটার বা নাগরিককে বাদ দেওয়া হয়, যদি হয়রানি করা হয়, তাহলে আমরা নীরব থাকব না। প্রয়োজনে এক লক্ষ কর্মী নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, নির্ভুল ও স্বচ্ছ ভোটার তালিকাই গণতন্ত্রের ভিত্তি। কিন্তু সেই নামে যদি সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলা হয়, তৃণমূল তার প্রতিবাদ করবে।”
কুণাল ঘোষ একইসঙ্গে রাজ্যের সাধারণ মানুষ ও মতুয়া সম্প্রদায়ের উদ্দেশে আবেদন জানান, “আমরা জানি, বিজেপি এই প্রক্রিয়াকে অন্যভাবে ব্যবহার করতে পারে। যদি কেউ অন্যায়ভাবে বাদ যান বা হয়রানির শিকার হন, তাহলে আইনসম্মত পথে প্রতিবাদ করুন, কিন্তু কোনওরকম হিংসাত্মক প্ররোচনায় পা দেবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের পাশে আছেন, কোনও অবস্থাতেই কাউকে একা হতে দেব না।”
ভবিষ্যদ্বাণী করে কুণাল আরও বলেন, “SIR শেষ হলে দেখা যাবে, তৃণমূল কংগ্রেস ২৫০ আসন নিয়ে চতুর্থবারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মুখ্যমন্ত্রী করবে। আমাদের বুথ স্তরের সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। বিজেপি ভোটের ফল প্রকাশের পরই বুঝবে, সংগঠন কাকে বলে।”
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে কুণাল সতর্কবার্তা দেন, “কমিশনকে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। যদি বিজেপির প্রভাবে কোনও বৈধ ভোটারকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে সাংবিধানিক উপায়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়বে।”
অন্যদিকে, বিজেপির মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় কুণালের মন্তব্যে কটাক্ষ করে বলেন, “তৃণমূল এখন বলছে, বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না। অথচ গতকাল পর্যন্ত বলছিল, বাংলায় SIR চলতে দেবে না। মানে আজ অবস্থান বদলে নিয়েছে। বিজেপি কোনও প্ররোচনা দেয়নি, আমরা শুধু বলেছি—বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ দিতে হবে।”
রাজনীতির ময়দানে এখন একটাই প্রশ্ন—SIR ঘিরে শুরু হওয়া এই তীব্র বাকযুদ্ধ কি আসন্ন লোকসভা ভোটের নতুন ইস্যু হয়ে উঠবে?