‘হোয়াইট-কলার টেরর মডিউল’ মামলায় ছেলে–ভাই আটক, গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা বাবার

কাজিগুন্ডে ছেলে ও ভাই আটক হওয়ার হতাশায় নিজেকে আগুন লাগালেন ৫০ বছরের বিলাল আহমদ ওয়ানি। গুরুতর দগ্ধ। মেহবুবা মুফতির কড়া প্রতিক্রিয়া।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Fire

নিজস্ব সংবাদদাতা: দক্ষিণ কাশ্মীরের কাজিগুন্ডে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। লালকেল্লা বিস্ফোরণ মামলার সূত্র ধরে পুলিশ যে তথাকথিত “হোয়াইট-কলার টেরর মডিউল” খুঁজে পেয়েছে, সেই তদন্তে তাঁর ছেলে ও ভাইকে আটক করার পর চরম মানসিক চাপে পড়ে নিজেকে আগুন লাগিয়ে দেন ৫০ বছরের বিলাল আহমদ ওয়ানি।

ওয়ানপোরা গ্রামের শুকনো ফল বিক্রেতা বিলাল নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যে চরমভাবে দগ্ধ হন তিনি। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁকে প্রথমে ভর্তি করা হলেও পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় শ্রীনগরের এসএমএইচএস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতে, তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক।

Fire

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, বিলালের ২২ বছরের ছেলে জাসির বিলাল— যিনি জিডিসি লেভডোরার ছাত্র— তাঁকে পাঁচ দিন আগে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। তিন দিন আগে আটক হন বিলালের ভাই নবিল ওয়ানি। প্রিয়জনদের এই আকস্মিক আটক ও তদন্তের চাপে বিলাল প্রচণ্ড মানসিক উদ্বেগে ভুগছিলেন বলে দাবি করেছেন আত্মীয়রা। তাঁরা জানান, বিলাল বারবার অনুরোধ করলেও তাঁর ছেলে ও ভাইকে দেখা করার অনুমতি পাচ্ছিলেন না— এই ধারণাই তাঁকে চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।

ঘটনার জেরে রাজনৈতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি প্রশাসনের বিরুদ্ধে “অতিমাত্রার কঠোরতা” এবং “এলোপাথাড়ি আটক” করার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর সতর্কবার্তা— মানুষের আবেগ ও মানবাধিকারের অবমূল্যায়ন এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতেই থাকে।

কাজিগুন্ডের এই ভয়াবহ ঘটনা পুরো উপত্যকায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে।