পছন্দ না হলে কিনবেন না! আমেরিকা ও ইউরোপকে সরাসরি জবাব জয়শঙ্করের

এবার আমেরিকা ও ইউরোপকে কঠোর বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
s jaishankarty2.jpg


নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে এক চটকদার কূটনৈতিক জবাব দিলেন। তিনি বলেন, “যারা প্রো-বিজনেস আমেরিকান প্রশাসনের জন্য কাজ করেন, তারা অন্যকে ব্যবসায় লিপ্ত হওয়ার দোষ দিচ্ছে, এটা হাস্যকর। ভারত থেকে তেল বা রিফাইনড পণ্য কিনতে সমস্যা হলে, কিনবেন না। কেউ বাধ্য করছে না। ইউরোপ কিনছে, আমেরিকা কিনছে, আপনাদের পছন্দ না হলে, কিনবেন না।”

জয়শঙ্কর ট্রাম্পের দাবি যে তিনি ভারত-পাকিস্তান মধ্যে মধ্যস্থতা করেছেন, তা নিয়ে জানান যে ভারতের জাতীয় কনসেনসাস অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো মধ্যস্থতা মেনে নেওয়া হয় না।

তিনি আরও পরিষ্কার জানিয়েছেন, সরকার কৃষকের স্বার্থ, বাণিজ্য ও কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন রক্ষায় কোনোরকম আপস করবে না। জয়শঙ্কর বলেন, “যদি কেউ আমাদের সঙ্গে একমত না হন, তাহলে ভারতীয় জনগণকে বলুন যে তারা কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করতে প্রস্তুত নয়। আমরা করব। আমাদের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন রক্ষা করব।”

fe

এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০% শুল্ক আরোপ করেছেন, এবং অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক বসিয়েছেন রাশিয়ার তেল কেনার জন্য। তবে একই ধরনের শুল্ক চীনের পণ্যের ওপর আরোপ করা হয়নি, যা রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।

ভারত এই সিদ্ধান্তকে “অন্যায়, অযৌক্তিক ও অব্যাখ্যাতযোগ্য” বলে নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে যে দেশের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, অন্যান্য অনেক দেশও নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এমন ক্রয় করছে, কিন্তু ভারতকে বিশেষভাবে টার্গেট করা হয়েছে।

এর আগে, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট অভিযোগ করেছিলেন যে ভারত ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার তেল ক্রয় করে মুনাফা করছে এবং এটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছিলেন। বর্তমানে ভারতের মোট তেল ক্রয়ে রাশিয়ার তেলের অংশ ৪২% পৌঁছেছে, যুদ্ধের আগে যা ছিল ১%-এর কম। চীনের অংশ ১৩% থেকে বেড়ে ১৬% হয়েছে। এই সমস্ত ঘটনার পেছনে আসে আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের হঠাৎ দিল্লি সফরের বাতিল।