/anm-bengali/media/media_files/2025/11/23/rajasthan-toxic-gass-2025-11-23-20-17-20.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজস্থানের সিকার জেলায় আচমকা ছড়িয়ে পড়া রহস্যময় বিষাক্ত গ্যাসে রোববার আতঙ্কের ছায়া নেমে এল গোটা এলাকায়। বিষাক্ত ধোঁয়া শ্বাসে যাওয়ার পর একেবারে সকাল থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তত ২২ জন, যার মধ্যে ১৬ জনই ছোট শিশু। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট, মাথা ঘোরা, বমি ভাব—এমন উপসর্গ নিয়ে দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
লাল বহাদুর স্কুলের আশপাশে বসবাসকারী মানুষদের অভিযোগ, এটা নতুন কিছু নয়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তাঁরা প্রতি রাত ও ভোরে তীব্র ধোঁয়া ও দুর্গন্ধের কবলে পড়ছেন। কারখানার চিমনি থেকে বেরোনো ঘন ধোঁয়া প্রায় প্রতিদিনই ঢুকে পড়ছে আবাসিক মহল্লায়। শিশু থেকে বৃদ্ধ—শ্বাসকষ্ট সবাইকে গ্রাস করেছে। স্থানীয়দের কথায়, “বাড়ির ভেতরেও মাস্ক পরে থাকতে হচ্ছে!”
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আপাতত সকলেই স্থিতিশীল। বেশিরভাগ শিশু প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরলেও কয়েক জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2024/11/14/SzmJlm47UXSxKWsPsOox.jpg)
ঘটনার তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। সিকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রতনলাল জানান, “প্রথমিকভাবে মনে হচ্ছে আশপাশের একটি চুল্লিতে পোশাক পোড়ানোর ফলে এই বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে। ২২ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল, তার মধ্যে ১৫ জন শিশু।” তিনি জানান, দূষণের উৎস চিহ্নিত করতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে ইতিমধ্যেই কাজে লাগানো হয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (CPCB) তথ্য বলছে, ঘটনার দিন সিকারের AQI ছিল ১৭২—যা ‘মডারেট’ পর্যায়ে। তবে আশপাশের অঞ্চলগুলোর বায়ুদূষণ আরও ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। ক্রমশই উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে—এই ধোঁয়া কি আরও বড় বিপদের বার্তা দিচ্ছে?
সিকারের বাসিন্দাদের প্রশ্ন এখন একটাই—কতদিন এমন বিষাক্ত বায়ুতে বাঁচতে হবে?
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us