/anm-bengali/media/media_files/mctv3W6i89z9WAPn7za0.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুক্কু সোমবার জানিয়েছেন, রাজ্যের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প থেকে প্রাপ্ত জিএসটি রাজস্বে বিপুল পতন ঘটেছে। তাঁর ভাষায়, “এশিয়ার ৩৫ শতাংশ ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত। আগে এই খাত থেকে বছরে প্রায় ৩,৫০০ থেকে ৪,০০০ কোটি টাকা জিএসটি পেত রাজ্য সরকার, কিন্তু এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ১৫০ কোটি টাকায়।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই বিষয়টি তিনি খুব শিগগিরই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে আলোচনায় তুলবেন। তিনি বলেন, “আমরা কেন্দ্রের কাছে ১৬০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত ঋণ পুনর্বহাল করার দাবি জানাব, যা বিজেপি আমলে রাজ্যকে দেওয়া হত। সেই সঙ্গে আমরা আগামী তিন–চার মাসের সংকট সামাল দিতে অতিরিক্ত ২% ঋণসীমা অনুমোদনের কথাও বলব।”
সুক্কুর দাবি, তাঁর সরকারের নেওয়া ঋণগুলো নতুন প্রকল্পে নয়, বরং পূর্ববর্তী সরকারের ঋণ শোধের জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে। “আমাদের সরকার গত তিন বছরে যত ঋণ নিয়েছে, তার প্রতিটি টাকা গেছে আগের সরকারের ৭৫,০০০ কোটি টাকার ঋণের সুদ ও আসল টাকা মেটাতে,” বলেন তিনি।
রাজ্যের আর্থিক অবস্থা নিয়ে এখন উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে ফার্মা সেক্টরে উৎপাদন ও রপ্তানিতে মন্দার কারণে জিএসটি আয় বিপুলভাবে কমেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, হিমাচল প্রদেশের মতো শিল্পনির্ভর রাজ্যে এই ধাক্কা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা কেন্দ্রের সহযোগিতা চাই। রাজ্যের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে এবং কর্মসংস্থান বজায় রাখতে এখনই বিশেষ সাহায্য প্রয়োজন।”
বিশ্লেষকদের মতে, সুক্কুর এই বক্তব্য শুধু অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে। কারণ, রাজ্যের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দায় নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেস—দুই শিবিরেই শুরু হয়েছে পারস্পরিক দোষারোপের রাজনীতি।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us