সাত পাকে বাঁধা পড়ার আগেই মৃত্যু! সাড়ে ২৩ বছরের সোনিকে হত্যা করল বাগ্দত্তা?

বিয়ের এক ঘণ্টা আগে ভানগররে বাগ্দত্তাকে খুনের অভিযোগ। লিভ–ইন সঙ্গী সজন বারাইয়ার বিরুদ্ধে মামলা। শাড়ি ও টাকা নিয়ে ঝগড়ায় ঘটল মর্মান্তিক মৃত্যু।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
dead

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভানগররের প্রভুদাস লেক এলাকার টেকরি চক–এর কাছে এক নারকীয় ঘটনার সাক্ষী হল স্থানীয়রা। বিয়ের আর মাত্র এক ঘণ্টা বাকি, ঘরে তখন সাজসজ্জা চলছে। ঠিক সেই সময়েই নিজের বাগ্দত্তা ২৩ বছরের সোনি হিম্মৎ রাঠৌদকে নৃশংসভাবে হত্যা করল তারই প্রেমিক ও লিভ–ইন সঙ্গী সজন বারাইয়া— এমনই অভিযোগ পুলিশের।

পরিবারের আপত্তির কারণে গত এক বছর ধরে একসঙ্গে থাকছিলেন সোনি ও সজন। বিয়ের বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। অধিকাংশ প্রাক–বিবাহ অনুষ্ঠান আগেই সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের প্রস্তুতির মধ্যেই শাড়ি আর টাকা নিয়ে দু’জনের মধ্যে তীব্র বিতর্ক বাঁধে। রাগের মাথায় সজন নাকি লোহার পাইপ দিয়ে সোনির মাথায় আঘাত করে এবং এরপর মাথা দেওয়ালে ঠুকতে ঠুকতে থেঁতলে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তরুণীর।

hand-dead-victim-woman-covered-600nw-
ফাইল চিত্র

ডিএসপি আর. আর. সিংহল জানিয়েছেন, সজন হত্যার পর ঘরে ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে যায়। তদন্তকারীরা ঘটনার বিস্তারিত খতিয়ে দেখছেন। সোনির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তীব্র রাগের মাথায় মুহূর্তের মধ্যেই এই মর্মান্তিক খুনটি ঘটেছে।

সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। খুনের মামলা রুজু হয়েছে এবং অভিযুক্ত সজন বারাইয়ার সন্ধানে তল্লাশি চলছে। বিয়ের দিনে এমন ভয়াবহ ঘটনা গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ও শোক ছড়িয়েছে।