“উড়ন্ত কফিনে” যাত্রা! কেদারনাথের পথে হেলিকপ্টারে মৃত্যু — আতঙ্কে তীর্থযাত্রী!

উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার সার্ভিসে চরম অব্যবস্থা প্রকাশ্যে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
w

নিজস্ব সংবাদদাতা: চলতি কেদারনাথ তীর্থযাত্রার মৌসুমে একের পর এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। সর্বশেষ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ জুন, শনিবার, গৌরীকুণ্ডের জঙ্গলে। আর্যন অ্যাভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টার কেদারনাথ থেকে গুপ্তকাশী যাওয়ার পথে সকাল ৫টা ১৭ মিনিটে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়।

এই দুর্ঘটনায় পাইলটসহ মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন শিশুও ছিল। জানা গেছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ক্র্যাশ করে। এই দুর্ঘটনাটি গত ছয় সপ্তাহে উত্তরাখণ্ডে ঘটে যাওয়া পঞ্চম হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা — যা হেলিকপ্টার পরিষেবার নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতির বিষয়টি বড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।

helicopter clash

১৪ জুন সাহস্রধারা হেলিপ্যাড থেকে কেদারনাথ যাওয়ার কথা ছিল বেশ কিছু তীর্থযাত্রীর। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রাশান্ত পাটিল, ড. মেঘনা শর্মা (একজন ভ্রমণ ব্লগার), আস্থা, অসমিতা সহ আরও অনেকে। তাঁদের কপ্টারটি সকাল ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ‘কারিগরি সমস্যার’ কারণে বারবার বিলম্ব হয় এবং পরে বাতিল হয়ে যায়। তাদের গুপ্তকাশীতে থাকতে বলা হয় এবং বলা হয় পরদিন সকাল ৪:২০-তে হেলিকপ্টার ধরতে। কিন্তু যে হেলিকপ্টারটি আসার কথা ছিল, সেটি আর আসে না।

প্রথমে বলা হয়েছিল জরুরি অবতরণ করা হয়েছে, কিন্তু এরপর আর কোনো পরিষ্কার তথ্য দেওয়া হয়নি। যাত্রীরা জানান, একেকটি হেলিকপ্টারে ৭ জন করে তোলা হচ্ছে, কিন্তু কোথাও সঠিক নির্দেশনা, নিরাপত্তা ব্রিফিং বা প্রযুক্তিগত সহায়তা ছিল না। গ্রাউন্ড স্টাফদের আচরণও ছিল অত্যন্ত অব্যবস্থাপূর্ণ ও উদাসীন। অনেক যাত্রী বলছেন, “এখন হেলিকপ্টারে ওঠা মানেই যেন উড়ন্ত কফিনে চড়া!”


এক যাত্রী জানিয়েছেন, যেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, সেখানে তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল। এই খবর শুনে তারা আতঙ্কে ভেঙে পড়েন এবং নিজেদের ভাগ্যবান মনে করেন। চোখে দেখা প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, এবং ফ্লাইট চেকিং সব ক্ষেত্রেই চরম গাফিলতি রয়েছে।