ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়ার একের পর এক ফ্লাইট বাতিল? ভারতের আকাশ জুড়ে তুমুল আতঙ্ক

এয়ারবাস এ৩২০ বিমানে বড় প্রযুক্তিগত ত্রুটির আশঙ্কা। ভারতে ২০০-২৫০টি ফ্লাইট প্রভাবিত হতে পারে। ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া শুরু করেছে জরুরি আপডেট।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
indigo


নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৯ নভেম্বর সকাল থেকেই দেশের বিমান পরিষেবা ঘিরে ছড়িয়েছে অস্বস্তি ও আতঙ্ক। গোটা বিশ্বের বিমান চলাচলে বড় ধাক্কার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতির মূল কারণ ইউরোপীয় বিমান নির্মাতা সংস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা। জানা গিয়েছে, তীব্র সৌর বিকিরণের কারণে এয়ারবাসের এ৩২০ সিরিজের বিমানের ফ্লাইট কন্ট্রোল ডেটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই তথ্য সামনে আসতেই যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ভারতের প্রধান বিমান সংস্থাগুলি জরুরি পদক্ষেপ নিতে শুরু করে।

ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছে, তাদের এ৩২০ সিরিজের একাধিক বিমানে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ও সফটওয়্যার আপডেটের কাজ চলছে। এর জেরে আগামী কয়েকদিন একাধিক ফ্লাইট বাতিল কিংবা দেরিতে চলার সম্ভাবনা রয়েছে। সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি এ৩২০ বিমানে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে এই বিমানগুলো সাময়িকভাবে উড়তে পারবে না বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি একটি এ৩২০ সিরিজের বিমান মাঝ আকাশে হঠাৎ নীচের দিকে ঝুঁকে পড়ে। উড়ন্ত অবস্থায় এই ধরনের ঘটনা সাধারণত ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমে ত্রুটি থাকলেই ঘটে। পরে পরীক্ষা করে জানা যায়, বিমানের এক গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার অংশে গড়বড় দেখা দিয়েছে। এই ঘটনার পরই ইউরোপীয় বিমান নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিমানের পরবর্তী উড়ানের আগে ওই যন্ত্রাংশ বদল বা সফটওয়্যার আপডেট করতেই হবে।

Flight

সূত্রের খবর, ভারতে এই মুহূর্তে প্রায় ৫৬০টি এ৩২০ সিরিজের বিমান চলাচল করে। তার মধ্যে প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি বিমানে জরুরি আপডেট দরকার। এতগুলো বিমান একসঙ্গে পরিষেবা থেকে সাময়িকভাবে সরে গেলে ফ্লাইট পরিষেবায় বড় প্রভাব পড়তেই পারে বলে আশঙ্কা করছে বিমান সংস্থাগুলি।

ইন্ডিগো জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই আপডেটের কাজ শুরু করেছে এবং এর জেরে কিছু ফ্লাইটের সময়সূচিতে বদল আসতে পারে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আপডেটের কারণে কিছু বিমানের উড়ানের প্রস্তুতিতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি সময় লাগতে পারে। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসও জানিয়েছে, তাদের সব বিমান প্রভাবিত না হলেও কিছু ফ্লাইট বাতিল বা দেরিতে চলতে পারে।

ইউরোপীয় বিমান নিরাপত্তা সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, এই ত্রুটি ঠিক না হলে বিমানে হঠাৎ নিজে থেকেই ওঠানামা শুরু হতে পারে, যা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এয়ারবাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই এই আপডেটের কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকেই বিশ্বজুড়ে বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আশা করা হচ্ছে।