/anm-bengali/media/media_files/2025/11/11/umar-delhi-blast-2025-11-11-21-29-29.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় যে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল, তার নেপথ্যে উঠে আসছে আরও গভীর সন্ত্রাস যোগ। তদন্তে জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী হামলাকারী ডঃ উমর নবি ২০২২ সালে তুরস্কে গিয়ে দেখা করেছিলেন এক সিরিয় সন্ত্রাস-কর্মীর সঙ্গে। আরও তিন অভিযুক্তের সঙ্গেও সেই বৈঠক হয়েছিল। গোটা যাত্রাপথ নির্দেশ দিচ্ছিল পাকিস্তানি হ্যান্ডলার উকাশা, এমনটাই জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
তুরস্ক সফরের পরই উমর ভর্তি হন ফারিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত সপ্তাহে সন্ধ্যায় লালকেল্লার কাছে ধীরে চলা একটি হুন্ডাই i20-র ভিতরেই বিস্ফোরণ ঘটে। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন আত্মঘাতী হামলাকারী উমর। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই ফারিদাবাদের এক ‘হোয়াইট-কালার টেরর মডিউল’ ধ্বংস করে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। উদ্ধার হয় প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক, গ্রেফতার তিন চিকিৎসক।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/11/delhi-blastaaa-2025-11-11-19-23-28.png)
NIA–র তদন্তে স্পষ্ট হয়েছে, এই বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে এক বিস্তৃত বিদেশি সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক। পাকিস্তান, তুরস্ক, সিরিয়া—বহু দেশের যোগ পাওয়া গেছে। উমর, ডঃ মুজাম্মিল, ডঃ আদিল এবং ডঃ মুজাফফর রাথর—চারজনই ২০২২ সালে তুরস্কে গিয়ে গোপনে দেখা করেন এক সিরিয় ব্যক্তির সঙ্গে, যাকে সন্দেহ করা হচ্ছে বড়সড় সন্ত্রাস চক্রের অংশ বলে।
তদন্তকারীরা বলছেন, বিদেশে বসে হ্যান্ডলাররা এনক্রিপ্টেড চ্যাট ও গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে অভিযুক্তদের নিয়ন্ত্রণ করছিল। র্যাডিক্যালাইজেশন থেকে বিস্ফোরকের যোগান, সবকিছুতেই ছিল সুচারু পরিকল্পনা। দিল্লির বিস্ফোরণ সেই বহু স্তরের নেটওয়ার্কেরই অংশ।
এই ঘটনায় গোটা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন প্রশ্ন উঠছে। চিকিৎসকদের মতো পেশাজীবীদের টার্গেট করে কীভাবে গড়ে উঠছে ‘হোয়াইট-কালার টেরর গ্রিড’, তা নিয়েও এখন চিন্তায় গোয়েন্দারা।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us