/anm-bengali/media/media_files/2025/10/27/jamaica-2025-10-27-18-57-22.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ ধেয়ে আসছে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে অন্ধ্র সরকার। মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ও মন্ত্রী নারা লোকেশ নিজে থেকে রাজ্যের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন ২৪ ঘণ্টা ধরে।
জানা গেছে, রিয়েল টাইম গভর্ন্যান্স সোসাইটি (RTGS)-এর ওয়ার রুম থেকে প্রতিটি জেলার প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গেও চলছে ধারাবাহিক সমন্বয়।
সর্বোচ্চ প্রস্তুতি পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ব্যাপক উদ্ধার ও সরিয়ে নেওয়ার অভিযান। উপকূলবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
৪০০-রও বেশি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে, যেখানে প্রয়োজনীয় খাদ্য, ওষুধ, বিশুদ্ধ জল ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, এনডিআরএফ (NDRF) ও এসডিআরএফ (SDRF)-এর সমস্ত দলকে সম্পূর্ণ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে যে কোনও জরুরি অবস্থায় তৎক্ষণাৎ উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2024/10/24/HYAu5Ojpvv4gsmsJN413.jpg)
রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন—একটিও প্রাণহানি যেন না ঘটে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ, বায়ুচাপ ও সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি প্রতিটি মুহূর্তে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।”
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ‘মন্থা’ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্ধ্র উপকূলে প্রবল বেগে আছড়ে পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে, যা বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলতে পারে উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে।
উদ্ধার বাহিনী, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য দফতর—সবকটি বিভাগকেই ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং সমুদ্রে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us