প্রবল বৃষ্টি, দমকা হাওয়া, ভেঙে পড়া গাছ — মন্থা ধ্বংসের চিহ্ন রেখে গেল উপকূলে

ঘূর্ণিঝড় মন্থা অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ে প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ে বিপর্যয় ডেকে এনেছে। কোনসীমা জেলায় গাছচাপা পড়ে এক মহিলার মৃত্যু, হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Cyclone

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ (Cyclone Montha) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তছনছ করে দিল অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল অঞ্চল। প্রবল বৃষ্টি, ঘণ্টায় ৯০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া আর সমুদ্রের উন্মত্ত ঢেউ—সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ দৃশ্য তৈরি হয়েছে। বহু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আর রাস্তাঘাট পরিণত হয়েছে জলে ডোবা নদীতে।

সবচেয়ে করুণ ঘটনা ঘটেছে কোনসীমা (Konaseema) জেলায়। সেখানে মাকানাগুদেম (Makanagudem) গ্রামের এক বৃদ্ধা মহিলা নিজের বাড়ির ভিতরে ছিলেন, ঠিক তখনই ঝড়ে উপড়ে যাওয়া এক তালগাছ (palmyra tree) তার ঘরের উপর ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর (IMD) জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মন্থা অন্ধ্র উপকূলে মাচিলিপাটনম (Machilipatnam) ও কালিঙ্গাপাটনম (Kalingapatnam)-এর মাঝখান দিয়ে, কাকিনাডা (Kakinada)-র কাছ দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে। তখন থেকেই শুরু হয় প্রবল বর্ষণ ও দমকা হাওয়া, যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায় দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে।

Cyclone

হাজার হাজার মানুষকে ইতিমধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, গাছ ও খুঁটি ভেঙে পড়েছে। নদীর জল বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে, ফলে নিম্নাঞ্চলগুলোতে জল ঢুকে পড়েছে।

ওড়িশার দক্ষিণাংশেও এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রশাসনের তরফে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা উপকূল জুড়ে আরও বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া চলবে।

স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকর্মীরা রাতভর তৎপর রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়। রাজ্য সরকারের তরফে নিহত মহিলার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।

মন্থা আপাতত দুর্বল হলেও, আবহাওয়া দফতরের সতর্ক বার্তা—“ঝড়ের পরও জলবন্যার আশঙ্কা রয়েছে, মানুষকে এখনই অযথা বাইরে না বেরোনোর অনুরোধ করা হচ্ছে।”